করোনার সংক্রমণ হলেই শুকনো কাশি!
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কি না সে ব্যাপারে অনেকেই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ। জ্বর-ঠান্ডা, কাশি, মানেই করোনা নয়। সর্দি-জ্বর মাথাব্যথা সাধারণ ফ্লুয়েরও লক্ষণ। এই সময় গরমে-ঘামে যা হয়েই থাকে।
তবে ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি হলে তাতে কফ উঠে আসে। যাকে আমরা ওয়েট কাফ বলি। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে তা শুকনো কাশি। গলা ব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং কাশি। সেই সঙ্গে অত্যধিক জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট। তবে করোনা মোটেই ক্লিনিক্যালি ডায়াগনোসিসে ধরা পড়ে না। শুধুমাত্র কাশির তফাতেই বোঝা যাবে এমন তথ্যও এখনও প্রমাণিত হয়নি।
ড্রাই কাফ আরও বহু কারণে হতে পারে। যাঁদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে, অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁরা সারাবছরই শুকনো কাশিতে ভোগেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সর্দি-কাশি হলেই ভয় পাবেন না। সর্দি-কাশি হলেই আপনার করোনা হয়েছে এমন নয়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এ সময় অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। এখন করোনার ভয়ে অনেকে জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই ছুটছেন চিকিৎসকের কাছে। আবার অনেকে নিজের ইচ্চামতো ওষুধ সেবন করছেন। আর এতেই বাড়ছে বিপদ।
করোনা আক্রান্ত হলে জ্বর-সর্দি কাশির সঙ্গে থাকবে গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। যেহেতু এটি ফুসফুসে আঘাত করে তাই অনেকেই নিউমোনিয়ার সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেলছেন। কিন্তু করোনা ও নিউমোনিয়া সম্পূর্ণ আলাদা। শরীর খারাপ লাগলে বা জ্বর শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ফেলে বা লুকিয়ে রাখবেন না। সমস্যা হলে আর তা ফেলে রাখলেই জটিলতা বাড়ে। করোনা শনাক্তকরণ শুধুমাত্র সোয়াব পরীক্ষা দিয়েই হয়। যত্রতত্র থুতু, কফ ফেলবেন না। হাঁচি, কাশি এবং সর্দিতে রুমাল বা ট্যিসু ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। করোনা হলেই মৃত্যু আসন্ন এমনটা একেবারেই নয়। সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠবেন।
যদি এমন হয় যে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। তবে ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনা খুঁজে দেখতে শুরু করবেন চিকিৎসকরা। আবার জ্বরটা ছেড়ে বা কমে গিয়ে দুদিন দিন পর এলেও তা ফিরলে ডেঙ্গুর লক্ষণ রয়েছে কিনা তা দেখেন চিকিৎসকরা।
আর জ্বরের সঙ্গে কি শুকনো কাশি হচ্ছে, নাকি কাশির সঙ্গে ঘন কফও আসছে। শুকনো কাশি হলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা ভাববেন ডাক্তাররা। তবে নিশ্চিত হতে পরীক্ষা প্রয়োজন।
তাই জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য ছোটাছুটি করে লাভ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/আরজেড/এজেড)