সব রোগের দাওয়াই মৌসুমী ফল
হাদিসে উল্লেখ আছে আল্লাহ পৃথিবীতে এমন কোনো রোগ দেননি, তারা ওষুধ নেই। প্রকৃতিতেই রয়েছে সব রোগের দাওয়াই। যুগে যুগে হেমিকরা বলে আসছেন, মৌসুমী রোগের দাওয়াই রয়েছে মৌসুমী ফলেই। তাই করোনাভাইরাস কিংবা ফ্লুর মতো রোগ-বালাই দূর করতে খেতে পারেন মৌসুমী ফল।
রোগ হলে তো ওষুধ খেতেই হয়। তবে রোগ ঠেকাতে কাজে দেয় কিছু ফল। এসব ফল খুব সহজলভ্য। মৌসুমি ফলগুলো অসুখ থেকে বাঁচায়। অনেক সময় স্বস্তিও দেয়। এ রকমই মৌসুমি কিছু ফলের গুণ জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঠান্ডা-সর্দি-জ্বরের মতো ফ্লু আক্রান্ত করলে সাধারণত প্রথমদিকে ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। এর বদলে খান মৌসুমী ফল।
এখন খেতে পারেন, কাঁচা আম, লেবু, পেয়ারা কিংবা বরই। এছাড়াও এখন মিলছে কমলাও। বাজারে সম্প্রতি বিক্রি শুরু হয়েছে তরমুজ ও বাঙ্গি। শরীর চাঙ্গা রাখতে গরম থেকে বাঁচতে এই ফলগুলোর জুড়ি নেই!
তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পানি। অতিরিক্ত ঘাম এবং তৃষ্ণা দূর করতে তরমুজের রস খুবই কার্যকর। কাজের কারণে ক্লান্তি যতই আসুক তরমুজের রস খেলে অল্প সময়েই ক্লান্তি দূর হয়। তরমুজের বীজ বেটে ঠান্ডা পানিতে চিনিসহ মিশিয়ে খেলে যকৃৎ পরিষ্কার থাকে।
যারা জ্বরে ভুগছেন তারা নিয়মিত আনারস খান। সুস্বাদু ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল হলো আনারস। সর্দি-কাশিতে আনারস খেলে কাজে দেয়। কৃমি সারাতেও এটি কার্যকর।
পেঁপে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপেতে আছে প্যাপাইন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পাকা পেঁপে খুব কার্যকর। কাঁচা পেঁপে ডায়রিয়া ও জন্ডিসে সারায়। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে এবং পাকা পেঁপে জুস করে খাওয়া যায়।
গরমে প্রশান্তি দেয় শসা। গরমে শরীরে যে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়, তা শসার মাধ্যমে অনেকটা পূরণ করা যায়। শসা ত্বকের জন্য ভালো।
পেট ফাঁপা, পেটের সমস্যা, ঠান্ডা, সর্দি-কাশিতে লেবু খুবই উপকারী। লেবুতে আছে ভিটামিন সি। জ্বর ও মুখের ঘা দূর করতে লেবুর ভূমিকা অনন্য।
কলা প্রায় সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা অবশ্যই থাকা উচিত।
বাজার থেকে এসব ফল কিনে এনে সরাসরি খাওয়া যাবে না। কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে পরিস্কার করে ধুয়ে শুকিয়ে তারপর খান।
(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এজেড)