চঞ্চলরা শত অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৯ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১৫:২৩

ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

চঞ্চল। পোশাকী নাম জালাল সাইফুর রহমান। দুদকের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলো। ২২তম বিসিএস অ্যাডমিন ক্যাডারে যোগ দিয়েছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ সকালে মারা গেল। প্রশাসনে সে ছিল বিরলপ্রজ কর্মকর্তাদের অন্যতম, যারা প্রো-পিপল, কিংবা সততাকে লালন করে চলে।

ঢাবি’র মুজিব হলে আমরা থাকতাম। চঞ্চল সমাজবিজ্ঞানে পড়তো। সে ছিল আমার হলের ছোট ভাই, আমি যে বাম সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম সেটার কর্মী ছিলো। পরবর্তীতে অবশ্য নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

প্রেম করে বিয়ে করেছিল সহপাঠী বকুলকে। আমার সাথে যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল সেটা আমৃত্যু টিকে ছিল। কেননা এতো নম্র ও বিনয়ী মানুষ সমাজে বিরল। ফোনে আমাদের যোগাযোগ ছিল।

ছাত্রজীবনে সমাজের অসঙ্গতি তাকে ভাবাতো বলেই যেমন যুক্ত হয়েছিল বামপন্থী সংগঠনে, তেমনি পেশাগত জীবনেও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি কখনও। রাষ্ট্রীয় নানা অসঙ্গতি নিয়ে মাঝে মাঝে কথা হতো ওর সাথে।

কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীন আওয়ামী লীগের লোকদের অন্যায় আবদার আমলে না নেয়ায় তার বিরুদ্ধে ছাত্রজীবনে ‘শিবির করা’র অভিযোগ তোলা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বদলি করা হয়।

চঞ্চলকে খুব ফিল করি। এরাই দেশের সে সকল রত্ন, যাদের ওপর আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। শত অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

পরপারে ভালো থেকো চঞ্চল। দোয়া করি।

ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এসকেএস