করোনায় প্রাণ বাঁচাতে যা করা এখন ফরজ

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১৮ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্বজুড়েই বেড়ে চলেছে আশঙ্কা। জনজীবনে নেমেছে অবিশ্বাস্য রকমের স্থবিরতা। তিন মাসেও এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে না পারায় হতাশা ছড়িয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কণ্ঠেও।

এই অবস্থায় নিজে বাঁচতে এবং অন্যকেও বাঁচাতে বেশকিছু নির্দেশনা মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। নির্দেশনাগুলো না মানার পরিণতি কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তা বুঝতে কষ্ট হওয়ারও কথা নয়। এই সময়ে অবশ্যই মানতে হবে এমন নির্দেশনাবলী ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

>>বয়স্কদের ভুলেও ঘরের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না।

>>যে কোনো বয়সের শারীরিকভাবে দুর্বল যেমন ডায়াবেটিসের রোগী, প্রেসারের রোগী, কিডনি সমস্যা, লিভার সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা ইত্যাদি রোগীকে ভুলেও ঘরের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না। কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে।

>>বিশেষ দরকারে সুস্থ সবল যুবক/যুবতীদের যদি ঘরের বাইরে যেতেই হয় তাহলে কম করে তিন মিটার দুরত্ব বজায় রাখতেই হবে। লোক জমায়েতে কিংবা ভিড়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না।

>>সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে; যদি বাজার করার সময় তিন মিটার (কম করে দেড় মিটার)  এর কম দূরত্বে কারো সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে N-95/N-99/P-95 ক্যাটাগরির মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। আর হাস্পাতালে কোনো কাজ থাকে অথবা বাড়িতে সন্দেহভাজন কেউ থাকলে তাহলেও এসব মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

>>বাজারে থাকাকালীন/বাজার থেকে এসে নিজের নাক, মুখ, চোখ এমন কি কানেও হাত দেয়া যাবে না। বাজার কিংবা বাইরে থেকে ফিরে জীবানুনাশক তরলমিশ্রিত পানি/সাবান দিয়ে অন্তত ১ মিনিট ভালোভাবে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে নিন।

>>হাতধোয়া শেষ হলে বাজারে ব্যবহৃত জামাকাপড় ডিটারজেন্ট কিংবা কাপড় কাঁচার সাবান গোলানো পানিতে কম করে এক থেকে দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিন এবং আপনিও গোসল করে নিন।

>>ঘরের মধ্যে কোনো করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন কেউ না থাকলে মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

>>গরম চা কিংবা কফি, গরম পানি এক-দুই ঘণ্টা অন্তর পান করতে পারলে ভালো। গলার মধ্যে কিছু জমে আছে এমন মনে হলে গরম পানির সঙ্গে লবন অথবা Betadine জাতীয় গার্গল ব্যবহার করুন।

>>যেকোনো ফল ভাল ভাবে ধুয়ে খান। ভিটামিন সি যুক্ত ফল বেশি খেলে ভালো। ফলগুলো আধ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর খাবেন। এছাড়া বাইরে থেকে আনা বিস্কুট-কেক ইত্যাদির যেকোনো প্যাকেট ব্যবহারের আগে ধুয়ে নিতে হবে।

>>ঘরের ভিতরে ঝাড়ু দেয়া যাবে না। বরং সরাসরি lizol জাতীয় ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। কোনোভাবেই ধুলো উড়তে দেয়া যাবে না।

>>বাজারে/বাইরে ব্যবহৃত জুতা ঘরের বাইরেই রাখতে হবে।

>>বাইরের যে কোনো ব্যক্তিকেই করোনা রোগী ভাবুন এবং সেই মতো নিজেকে সর্বোচ্চ সচেতন রাখুন।

>>খবরের কাগজওয়ালা, কুরিয়ার, পার্সেল, যেকোনো ধরনের কাজের লোক, বাইরের যেকোনো লোক ঘরে আসতে চাইলে সরাসরি না বলুন।

>>বাইরের কোনো খাবার নয়; ঘরে রান্না করা খাবার খান।

>>দয়া করে কোনো খাবার অপচয় বা নষ্ট করবেন না। বাসায় বাজার/তরিতরকারি যা আছে সেগুলো যথার্থ ব্যবহার করুন।

>>ঠান্ডা খাবার/পানীয় সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন।

>>এবং এই সময়ে ঘর থেকে একদম বের না হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা।

এছাড়া এসময়ে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলা ব্যাথা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা হলে ফার্মেসি থেকে নিজে নিজে কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।  চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক/ব্যাথার অষুধ সেবনে এখন হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ওপরের উপসর্গগুলি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/ডিএম)