সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের জীবাণুনাশক স্প্রে অব্যাহত
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশে মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে করোনাভাইরাসের জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়া দেশের বেশিরভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, ট্রেন, বাস, লঞ্চ স্টেশন, লোকসমাগম বেশি এমন স্থান, হাট-বাজার, বিভিন্ন মিডিয়া হাউজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমক্ত করতেও এই কার্যক্রম চলমান রেখেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলছে, গত ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের ৬৪টি জেলার ৮১৪টি প্রতিষ্ঠানে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
সোমবার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মিরপুর দারুস সালাম, মাজাররোড এলাকার বিভিন্ন স্থান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জীবণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া আজ রাতে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর আটটি হাসপাতালে জীবাণুনাশক স্প্রে করবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভার্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীতে একটা অবস্থা বিরাজ করছি। যেখানে সত্যিকার অর্থেই একে অপরকে সহযোগিতা করা দরকার।’
‘জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যকমটি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপ্রাণিত করেছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য সত্যিই আমরা গর্বিত, যারা নিজের জীবনকেবাজি রেখে এই কাজটি চলমান রেখেছে।’
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/এনআই/জেবি)