পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সব অধিকার নিশ্চিত হোক
করোনাভাইরাস জনজীবন স্থবির করে দিয়েছে। কর্মস্থল ফেলে রেখে প্রায় সবাই বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না ঠিকই চলছে। কারণ জীবনধারণের জন্য খাদ্যগ্রহণের বিকল্প নেই। আর খাওয়া-দাওয়া মানেই বাসায় কিছু বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এই ময়লা প্রতিদিন যারা পরিবহন করে তাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে।
আমি বলতে চাইছি ঢাকা শহরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কথা। পাড়া-মহল্লা খেকে ভ্যানে করে যারা ময়লা পরিবহন করে, তারা আগের মতোই ব্যস্ত আছে। তারা সবসময়ই আসলে জীবাণুর মধ্যে কাজ করেন। তাই সারা বছর তাদের মাস্ক ও গ্লাভস দরকার। কিন্তু এটা তেমন দেখা যায় না।
করোনাভাইরাসের সময় অন্যদের মতো তারাও মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করছে। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসলে তারা কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদের মতো ঘরে বসে থাকার উপায় নেই। কারণ তারা বসে থাকলে আমাদের বাসাবাড়িতে ময়লার স্তুপ জমে যাবে।
অন্যদিকে নগরে রাস্তায় যানবাহন কম থাকলেও সিটি করপোরেশনের সুইপাররা আগের মতোই প্রতিদিন ডিউটি করছে। আবার যারা আবর্জনা পরিবহন করার বড় বড় গাড়িগুলোতে কাজ করে, তারা ঢাকা সিটি করপোরেশনের গাড়িগুলো নিয়ে প্রতিদিন ল্যান্ডফিলে ময়লা ফেয়ে দিয়ে আসছে। অনেকে আবার সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ব্লিচিংযুক্ত পানি ছিটানোর কাজে যুক্ত হয়েছে এখন।
আমার দাবি হচ্ছে, সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা শহরের সমস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পোশাক দিতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করতে হবে। তাদের পরিবারের খাবার-দাবারের অভাব পূরণ করতে হবে। তাদের আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, ঢাকা নগরীর পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিরাপদ থাকলে আমরাও নিরাপদে থাকবো। তৃণমূলের এই মানুষগুলোর জন্য আমার শুভ কামনা।
লেখকঃ মির্জা গোলাম ইয়াহিয়া, হেড অব পাবলিক রিলেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক
ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এসকেএস