ঢাকাটাইমসে খবরের পর সেই বৃদ্ধার পাশে অনেকেই

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৫৪ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৬:১১

নাজমুল হক নাহিদ
আত্রাই (নওগাঁ)

দেশে চলছে মহামারি করোনার ক্রান্তিকাল। ঠিক এ সময়ে অঘোষিত লকডাউনে স্থবির সকল এলাকা। মানুষের কাজ নেই। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন টিনের এক ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা রুপভানের। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মর্মাহত হন আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজে অসহায় অন্ধ বৃদ্ধা রুপভানের বাড়িতে নিত্যপণ্য নিয়ে হাজির হন তিনি।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, আত্রাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃদ্ধা রুপভানসহ অসহায় গরীব মানুষের প্রতি আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে সোমবার বিকালে নিউজ প্রকাশের দুই ঘণ্টা পর শাহাগোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকার ওরা এগারজন পাঠক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ খাবার নিয়ে সেই অন্ধ বৃদ্ধার বাড়ি ছুটে আসেন এবং বৃদ্ধাকে সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, আমি এই বৃদ্ধার এক মাসের খাবারের দায়িত্ব নিলাম। আমি তার পাশে আছি।

কিছু সময় পরেই ছুটে আসেন শাহাগোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবু। খাবার নিয়ে হাজির হন সেই অন্ধ বৃদ্ধার সেই ঝুপড়ি ঘরে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তার জন্য একটি বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা করে দেয়ার।

সোমবার গভীর রাতে রুপভানের বাড়িতে ত্রাণ নিয়ে ছুটে গেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরুপ ও শাহাগোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন সন্দেশসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা। গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তার হাতে একটি খাবারের বস্তা ধরিয়ে দেন তারা। যেখানে রয়েছে- চাল, ডাল, আলু, লবণ, তেলসহ অন্যান্য দ্রবাদি।

সোমবার বিকালে এ নিয়ে ঢাকা টাইমসসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও রুপবানদের খবর নেই না কেউ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি দেখে অনেকেই মর্মাহত হন।

এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে ওই বৃদ্ধাকে সহযোগিতা করার জন্য যোগাযোগ করা হয়। সংবাদটি নজরে আসে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপি’র। এরপর তিনি রাতের আঁধারে ৭০বছর বয়সী অন্ধ বৃদ্ধা রুপভানকে উপজেলা ছাত্রলীগের সহযোগীতায় ঘর থেকে ডেকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছেন।

রুপভান বলেন, সোমবার বিকালে হঠাৎ করেই দুজন চাল, ডাল দিয়ে গেল। আবার রাতে এসে এমপি মহাদয়ের স্যার বস্তায় করে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিলেন। সবাইকে কাছে পেয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালাম। ঘরে এখন প্রায় ২০-২২ কেজি চাল হয়েছে আমার।

 (ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/কেএম)