করোনা: ইতালিতে একদিনে ৬০৪ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ২৩:৪০ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০০:১৫

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো

চীনের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। মারাত্মক আকার ধারণ করা মহামারি করোনাভাইরাসে ইতালিতে আতঙ্কে  হতাশায় দিন কাটাচ্ছে ইতালির ছয় কোটি মানুষ। জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

মঙ্গলবার আক্রান্ত তুলনামূলক কম হলেও মৃত্যুবরণ করেছে ৬০৪ জন। সোমবার এ সংখ্যা ছিল ৬৩৬ জন। রবিবার মৃত্যুবরণ করেছে ৫২৫ জন- যা গত ১৯ মার্চের পরে সবচেয়ে কম।

এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে ৮৭ জন ডাক্তার রয়েছেন। একদিনে নতুন আক্রান্ত তিন হাজার ৩৯ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। রবিবার এ সংখ্যা মোট তিন হাজার ৭৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫৫৫ জন। চিকিৎসাধীন ৯৪ হাজার ৬৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৬ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি।

তিনি বলেন, জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৪ হাজার ৩৯২ জন।

ইতালির ২১ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ) ১১টি প্রদেশ। আজ এ অঞ্চলে মারা গেছে ২৮২ জন। শুধু এ অঞ্চলেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে নয় হাজার ৪৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৩২৫ জন। আজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬৩৫ জন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে  দেশের এই দুর্যোগময় সময়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দেশের জনগণের পাশেই আছেন তিনি বলে জানান। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির ৬০ মিলিয়ন জনতার অর্থনৈতিক জীবন চাকা সচল রাখতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্যও পৃথক পৃথক বোনাস ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

দেশের সকল মিউনিসিপালিটির স্যোশাল (সলিডারিটি) ফান্ডের জন্য মোট ৪.৩ বিলিয়ন ইউরো আগাম বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন। দীর্ঘদিন যাদের কাজ নেই, খাবার কেনার অর্থ নেই এমন হতদরিদ্র লোকদের জন্য সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে আলাদা করে আরও ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

‘বনো স্পেজা’ নামে এ বোনাসে যাদের কাজ নেই কিংবা কাজের স্থানে পর্যাপ্ত কাজ না থাকায় দীর্ঘদিন বাসায় বসে আছেন তারা নিজ নিজ পৌরসভার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ নিজ মিউনিসিপালিটির মাধ্যমে ‘বনো স্পেজা’ আবেদন করা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/এলএ)