শতাধিক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো ওরা

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের চারিদিকে করোনা আতঙ্ক। কেউ কারো দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। সবাই সবার মতো ব্যস্ত। কবে থামবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ তাও অজানা। এসময় অনেকে বাড়তি খাদ্যপণ্য কিনে রাখছেন। তবে উল্টো চিত্রও আছে দেশের সবখানে।

দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো করোনার প্রভাবে দিশেহারা। কারণ দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোকে ক্ষুধা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাই দেশের সবখানেই সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায়দের সহযোগিতা করা হচ্ছে শুরু থেকেই।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এমন অসহায় শতাধিক পরিবারের মুখে হাসি ফুটালো বেশ কিছু যুবক। যারা এখনো শিক্ষার্থী। নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা আর কিছু মানুষের সহযোগিতায় মঙ্গলবার উপজেলার সুবিদখালীতে খেটে খাওয়া, দিনমজুর এসব মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেয় তারা।

শুধু তাই নয়, করোনা সম্পর্কে সচতেন করতে প্রত্যেকের কাছে নিজেদের তৈরী লিফলেট তুলে দেয়া হয় ত্রাণের সঙ্গে। শিক্ষার আলোহীন এসব মানুষের অনেকটা হাতকলমে করোনার ভয়বাহতা এবং এর থেকে মুক্তির উপায় বলে দিয়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা। সহায়তা দেয়া পরিবারের সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব বিতরণ করা হয়। এসব লিফলেট।

 

ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দেয়া প্রত্যেক প্যাকেটে ছিলো

 

৩ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি ডাল, আধা লিটার তেল ও ১টি সাবান।

উদ্যোক্তারা বলছেন অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা এই কাজটি শুরু করেছেন। এটা সামনেও চালিয়ে যেতে চান।

পুরো কার্যক্রমে জাব্বির আহমেদ জোবায়ের, হাসানুল বান্না তামিম, তমাল দাস, আরাফাত রহমান শিহাব, কাইয়ুম আহমেদ, তারিকুল ইসলাম রানা, সুজন কুন্ডু, নাজমুল হাসান, সুজন দাস, ফাহাদ, গোলাম রাব্বি, কাওছার আহমেদ, জিসান মুন্সি, রায়হান কবির শাওনসহ আরো অনেকে অংশ নেন।

জাব্বির আহমেদ জোবায়ের ঢাকাটাইমসকে বলেন, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর আমরা বেশ কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত ত্রাণ বিতরণে অংশ নেই। পরে সুবিদখালী সরকারি র, ই, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি-২০১৬ ব্যাচের বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নেই আমরাও কিছু করবো।

এই শিক্ষার্থী বলেন, সে অনুযায়ী নিজেরা যতটুকু পেরেছি পাশপাশি পরিচিতদের সঙ্গে কথা বললে তারাও সহযোগিতা করেন। উৎসাহ দেন। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতায় আমরা এই মানুষগুলোর মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটাতে পেরেছি। এটা আমাদের পরম পাওয়া।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/বিইউ