ঘরে থাকার অনুরোধ করলেন দুর্জয়

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১০:১৭

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে রুপ নিয়েছে বৈশ্বিক মহামারীতে। এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছুঁইয়েছে ৮২ হাজার, এই ভাইরাসের শিকার ১২ লাখের বেশি। বাংলাদেশেও সরকারি হিসেবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার শিকার রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে মহামারীটি বাংলাদেশে তৃতীয় স্তরে অবস্থান করছে যেখানে সামাজিকভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতিতে বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয় মানুষকে ঘরে থাকার কড়া অনুরোধ করেছেন।

এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক, ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি ঘরে থাকাকেই বলা হচ্ছে মূল সমাধান। দীর্ঘদিন ধরেই সরকার এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে জনগণের কাছে। তবে অনেকেই মানছেন না এই নির্দেশ, বিনা প্রয়োজনে সময় পার করছেন বাইরে। এ কারণেই বিসিবির পরিচালক ও সংসদ সদস্য দুর্জয় নরম নয় কড়া সুরেই অনুরোধ করলেন ঘরে থাকার।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘সবাই জানেন যে করোনা ভাইরাসের কোনো ঔষধ নেই। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে যেমন- হাত ধোয়া, পরিষ্কার থাকা ইত্যাদি। যেখানে-সেখানে থুতু-কাশি ফেলা যাবে না। এখন সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো রোগটি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। একজন অন্যজনকে সংক্রমিত করছে। তাই দেশের সবার জন্য ‘কড়া অনুরোধ’ দয়া করে ঘরে থাকুন। নিজের পরিবার ও দেশকে বিপদমুক্ত রাখুন।’

বিসিবির পরিচালকের পাশাপাশি ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়। দিন কয়েক আগেই অসহায়দের সাহায্যার্থে তহবিল গঠন করে কোয়াব। প্রথম শ্রেণির ৯১ জন ক্রিকেটার তাতে অনুদানও দেন। এছাড়া অন্যান্য উৎস থেকেও অনুদান আসে এই তহবিলে। দুর্জয় বলছেন দ্রুতই এই অর্থ ব্যয় করা হবে অসহায়দের পেছনে, ‘এই তহবিলে টাকা সংগ্রহ চলছে এখনো। মোটামুটি সাড়া পেয়েছি। ক্রিকেটারাও দিয়েছেন এই ফান্ডে।’

‘আমরা অবশ্যই এই টাকা দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ব্যয় করবো। তবে কবে নাগাদ এই সাহায্য কার্যক্রম শুরু করবো তা এখনই বলতে পারছি না। একটু সময় লাগবে। আশা করছি, ততদিনে এই তহবিলে আরো টাকা জমা হবে।’

ক্রিকেট বোর্ডে নাইমুর রহমানের আছে আরেকটি পরিচয়, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের চেয়ারম্যানও জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। করোনার এই সময়টায় এইচপির ক্রিকেটারদের জন্যও দিয়েছেন বার্তা, ‘পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে বলা কঠিন কবে ক্রিকেট মাঠে ফিরবে। আমার অনুরোধ নিরাপদে ঘরে থেকেই নিজেদের যতটা সম্ভব মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে হবে। নিজেদের কিভাবে ফিট রাখবে তাদেরকে সেই গাইডলাইনও দিয়েছি আমরা।’

(ঢাকাটাইমস/০৮ এপ্রিল/এআইএ)