জামালপুরে বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছায় লকডাউন
প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৫:১৭
করোনাভাইসের সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় প্রশাসন নানা নির্দেশনা দিলেও তা খুব একটা আমলে নেয়নি সাধারণ মানুষ। তবে গত দুই দিনে করেনাভাইসের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে সচেতন হচ্ছে তারা। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জামালপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও উপজেলার গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে। জেলার সাত উপজেলাতেও একই চিত্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইরে থেকে আসা মানুষের যাতায়াতও সীমিত করছে এলাকাবাসী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মহল্লাবাসীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে যাতায়াতকারীদের হাত ধোয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে না পারে।
বুধবার সকালে জামালপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বানিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বানিয়াবাজার থেকে ডাকপাড়া এলাকায় যাওয়ার প্রধান সড়কের প্রবেশ মুখে অবস্থান করছে একদল যুবক। যাতায়াতকারীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানোসহ প্রতিটি যানবাহনে জীবানুনাশক স্প্রে করছে তারা। এছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন গলির প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল পাশা বলেন, আমরা সারা এলাকায় লকডাউন করে দিয়েছি। এই পর্যন্ত চারটা পাঁচটা এলাকা লকডাউন করে দিয়েছি। এলাকার সবাইকে মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের এলাকাগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে একটি বাঁশের বেড়ার একটি গেইট দেখা যায়। সেখানে প্রতিনিয়ত অবস্থান করছে একজন।
সেখানে অবস্থানরত সাযযাদ হোসেন জানান, বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে না যেতে পারে। তার জন্য তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা সকলে একজন একজন করে এখানে অবস্থান করে এবং বহিরাগত কেউ যেনো তাদের এলাকায় না ঢুকতে পারে। সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও জরুরি মুহূর্তে এই গেইট খুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
শহরের ৪নং ওয়ার্ডেও একই চিত্র পাওয়া যায়। এই ওয়ার্ডেও প্রায় প্রতিটি রাস্তার প্রবেশ বন্ধ দেখা যায়।
সেখানকার একজন বলেন, আমাদের রাস্তা বন্ধ করার কারণ হলো- আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তা ব্লক করে দিছি। যাতে কোনো মানুষ এসে আমাদের এলাকায় করোনাভাইরাস না ছড়াতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার একই চিত্র। প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লার প্রবেশমুখ বন্ধ করে সামাজিক লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয়রা।
(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/এলএ)