লকডাউনের পর ভারতে ডিভোর্সের সুনামি: মত আইনজ্ঞদের

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১৭ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ক্রমশই জটিল হচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যু মিছিলও। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন। কবে এই লকডাউন উঠবে, কবেই বা ফিরে আসবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তা জানে না কেউই। তবে জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, লকডাউনে নারী নির্যাতন ও ঘরে নারীদের ওপর সহিংসতা কয়েকগুণ বেড়েছে। এমন অবস্থায় লকডাউন উঠে গেলে ডিভোর্সের সুনামি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনজ্ঞরা।

যেসব নারী চাকুরি করেন তারা ঘরে বসেই সব কাজ সামলাতে হচ্ছে। ঘরের এবং অফিসের কাজ নিয়ে চাপে রয়েছেন অনেক নারী। এমনকি বাড়ি থেকে কাজ করেও যাবতীয় কিছু সারতে হচ্ছে তাদের। কাজে সাহায্য করার মতো কাউকে পাচ্ছেন না। তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। এছাড়াও টানা এতক্ষণ কেউ কারোর সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত নয়। সারাক্ষণ পাশাপাশি থাকায় ঝামেলা আরও বাড়ছে। আবার দিন আনি দিন খাই যেসব পরিবার, এই লকডাউনে অনেকেরই হাতে কাজ নেই। ফলে টান পড়ছে খাবারে।

সেখান থেকে বাড়ছে অশান্তি। বাড়ির সকলের রাগ গিয়ে পড়ছে স্ত্রীর ওপর। অনেকের জীবন থেকেই ফ্যামিলি টাইম শব্দটি হারিয়ে গিয়েছিল। একসঙ্গে বসে খাওয়া, আড্ডা, টিভি দেখা সেসব তো ভুলতে বসেছিলেন অনেকেই। কিন্তু আবার সেসব ফিরে পেয়ে অনেকেই যেমন খুশি, তেমন অনেকের কাছেই তা অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যারা বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করান এমন আইনজীবিদের কাছে প্রত্যেকদিন ফোন আসছে ডিভোর্স ফাইল করবার জন্য এই বেশিরভাগ দম্পতির দাম্পত্যজীবনের দশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকদিন।

অনেক দম্পতিই আবার লইয়ারকে বলছেন তারা মিউচুয়াল ডিভোর্স চান। অনেকেই আইনজীবিদের সঙ্গে টেলিফোন মারফৎ কথা সারছেন। যারা ডিভোর্স চাইছেন তাদের অনেকের কাছে আইনজীবিরা আরজি জানাচ্ছেন, ঠান্ডা মাথায় বসে দু'জনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এই খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বাংলা ভার্সন এইসময়।

লকডাউনে অনেক বেসরকারি সংস্থারকর্মী মন্দার কোপে পড়ে চাকরি খুইয়েছেন। কারোর আবার মাসিক বেতন থেকে টাকা কাটা হচ্ছে, কারোর বেতন কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক কোপ এসে পড়েছে সংসারেও।

সংসারের খরচ কমানো, হঠাৎ করেই এই পরিবর্তনে মানিয়ে নিতে পারছেন না অনেকেই। যে কারণে অশান্তি আরও বেড়েছে। সব স্বাভাবিক হলে তবেই তারা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নেবেন এমনটাই জানিয়েছেন। অনেকে অগ্রিম দিনক্ষণ ঠিক করে, আইনজীবির ফি বিষয়েও কথা বলে নিয়েছেন।

ঢাকা টাইমস/০৮এপ্রিল/একে