বিয়ে করতে গিয়ে গুলিতে যুবক নিহত: গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ২০:১৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিয়ে করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে মাহফুজুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় আব্দুল ওহাব ও সুমন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- মামলার তিন নং আসামি ও সম্রাট বাহিনীর প্রধান সম্রাটের ভাই চৌমুহনী পৌর হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব (৪৫), একই এলাকার সুমন (৩৩)।

পুলিশ জানায়, মাহফুজুর রহমান প্রকাশ মাহফুজ হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই বেলাল হোসেন হৃদয় বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেছে। সম্রাট বাহিনীর লোকজনের সাথে নিহত মাহফুজের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, মামলার পর পৃথক অভিযান চালিয়ে চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে মামলার দুই আসামি ওহাব ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাজাহান শেখ বলেন, নিহত মাহফুজুর রহমান ছিল সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর প্রধান সুমন প্রকাশ খালাসি সুমনের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। খালাসি সুমন গত ৪-৫ মাস আগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে নোয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছে। অপরদিকে তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান সম্রাট পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, হাজীপুর গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মাহফুজ মঙ্গলবার বিকালে কুতুবপুরে বিয়ে করতে যান। বিয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরপর ১০-১২ জন মুখোশধারী হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মাহফুজকে গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে মাহফুজকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথে মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/এলএ)