ঢাকার আরও যেসব এলাকা লকডাউন

ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের এক মাসের মাথায় এসে বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট ২১৮ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১৯ জনই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। নতুন নতুন করোনা রোগী শনাক্তের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করছে পুলিশ।

আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের একটি বস্তি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া রমনা এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম আক্রান্ত হওয়ায় তার বাসা লকডাউন করা হয়। তাছাড়াও বংশাল, কোতোয়ালী, মোহাম্মদপুর এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কাউকে প্রবেশ এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি নিজ উদ্যোগে লকডাউন করে দিয়েছেন অনেকেই। অপরিচিত, গৃহকর্মী, স্বজন কাউকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না আবাসিক ভবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতেও দেয়া হচ্ছে না।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রাজধানীর মগবাজারের একটি মসজিদের ইমামের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ইমামকে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি যে বাসায় থাকতেন, সেই বাসাটি এরই মধ্যে লকডাউন করা হয়েছে।’

লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বংশালে একজন সন্দেহভাজন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এছাড়া কোতোয়ারীতে একজন চিহ্নিত হওয়ায় তাদের বাড়ি লকডাইন করা হয়েছে। কামরাঙ্গীর চরে একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কাল টেস্ট করলে বোঝা যাবে তার বিষয়ে। তারপর লকডাউনের বিষয়টি দেখা হবে।’

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিকালে আইইডিসিআরের নির্দেশে মোতাহার বস্তি লকডাউন করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই বস্তি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না এবং বাইরে থেকেও কেউ ঢুকতে পারবেন না।

মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের নবোদয় বাজারের সামনের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে এক দিনে নতুন করে আরও ৫৪ জনের শরীরে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। মোট আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখা বেড়ে হয়েছে ২০ জন। ঠিক এক মাস আগে মার্চের ৮ তারিখে দেশে প্রথমবারের মত তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর একদিনে আক্রান্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/এসএস/জেবি)