নোয়াখালীতে প্রবাসীর মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ২১:১২

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোরশেদ আলম (৪৫) নামের এক ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় সন্দেহে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রসাশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পালের নির্দেশে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।

মৃত মোরশেদ আলম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন মোরশেদ আলম। কিছুদিন আগে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরমার্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু ১০-১২ দিন আগে তার শরীরের জ্বরের তীব্রতা বেড়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকায় পাঠান। কিন্তু তিনি ঢাকায় কোনো চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।

মৃতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদ আলম গত কয়েকদিন ধরে সর্দি, উচ্চ মাত্রায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার বিকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় নেয়ার পথে মোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন থেকে মৃতের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বাড়ির চারটি পরিবারের ২৭জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওই প্রবাসীর প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তার ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করছিল না।  

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল ওই প্রবাসীর বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান বলেন,  মোরশেদ আলমের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা প্রজেটিভ এলে নিহতের লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে। আর নেগেটিভ এলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯এপ্রিল/কেএম)