করোনার পরের বিশ্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী বিল গেটসের

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪৬ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ০৯:১০

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ব আগামী দিনে এমন ভ্যাকসিন ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক ওষুধ আবিষ্কার করবে যে, আর কোনো রোগ পৃথিবীতে মহামারি আকার ধারণ করতে পারবে না। এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিশ্ব্রের শীর্ষ ধনী ও ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা চলমান করোনা মহামারি সম্পর্কে বলেন, মে মাসের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। এরপর হয়তো স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যাবে। তবে এ সময় খেলাধুলার মতো বড় কোনো ইভেন্ট চালু না করাই ভালো হবে।

গত বুধবার লিংকড ইনের একটি সরাসরি কথোপকথনে এসব ভবিষ্যদ্বাণী করেন বি গেটস। এর আগে ২০১৫ সালে বিল গেটস ট্রেডএক্সের এক বক্তৃতায় বিশ্বে আসন্ন মহামারি সম্পর্কে বিশ্বকে সতর্ক করেছিলেন।

লিংকড ইনের সরাসরি কথোপকথনে বিল গেটস করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিশ্বব্যাপী কমবেশি ১০০টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১০টির দ্রুত কার্যকারিতা নিয়ে আশা আছে।’

এই ১০টি উদ্যোগের একটির হলো মডার্না ইনোভিওর ভ্যাকসিন। তাদের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ ও ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’ অর্থ দিয়েছে। লিংকড ইনের সরাসরি কথোপকথনে মর্ডানা ইনোভিও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৬ মার্চ মডার্না মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে। অন্যরাও আগামী মাসের মধ্যে ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে এখন সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র। বিল গেটস বলেন, ‘আমার ধারণা আগামী মে মাসের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সবাই যার যার কাজে ফিরে যেতে পারবেন। কলকারাখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ হয়তো স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। তবে, অধিকাংশ মানুষের কাছে ভ্যাকসিন না পৌঁছানো পর্যন্ত খেলাধুলার ক্ষেত্রে বড় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা উচিত হবে না।’

বিশ্বজুড়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহায়তাকারী বিল গেটস মনে করেন, করোনাভাইরাসের পর আর কোনো রোগ হয়তো মহামারি আকার ধারণ করতে পারবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এই মহামারি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি তাতে ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সবাই উদ্যোগ নেবে। এই মহামারির শিক্ষা থেকেই ভবিষ্যতে যেকোনো রোগের মহামারি ঠেকানো যাবে।’

‘কেবল ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য নয়, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন ওষুধে মনোযোগী হয়েছে, কাজ করছে। এর ফল পেলে হয়তো পরবর্তী মহামারি থেকে আমরা রক্ষা পাব।’ বলেন বিল গেটস।

এ ছাড়া চিকিৎসা অবকাঠামোর উন্নতির ফলে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে যেকোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/মোআ)