করোনা ভাইরাস: আতঙ্কের মনস্তত্ত্ব

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৩:২১

এ এস এম আলী কবীর, সাবেক সচিব

দেশ- বিদেশের চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ সম্পর্কে সব চেয়ে সত্যি কথা যেটি বলেছেন সেটি হলো : করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী সাধারন চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তার পরেই চিকিৎক ও অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে আবার আতঙ্ক ছড়ানোর মতো কয়েকটি কথা বার বার বলা হচ্ছে। এর কারণ ঠিক বোধগম্য নয়।

স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপন্ন করে এমন যে কোনো পরামর্শ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বাধ্য। সুতরাং করমর্দন ও আলিঙ্গন করতে নিষেধ করা, ঘরের বাইরে না যেতে বলা এবং গণপরিবহন পরিহার করার জন্য পরামর্শ মানুষের মনে ভীতির সন্চার করার জন্য যথেষ্ট ।

আরেকটি ভীতিকর বিষয় হলো, যখন একজন চিকিৎসক বলেন যে, এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা না থাকলে ৫০ হাজার রোগী কি করে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ীতে গেলেন? তারা বলতে পারতেন যে এই রোগের কোনো প্রতিশেধক বা টীকা এখনো আবিস্কৃত হয়নি।

করোনা ভাইরাসের আগ্রাসন সম্পর্কে আরো কয়েকটি সত্য বিশেষভাবে বিবেচনার দাবী রাখে।

১) করোনা ভাইরাস ২৩ ডিগ্রীর বেশী তাপমাত্রায় টিঁকে থাকতে পারে না। লক্ষ্যনীয় যে দেশগুলোতে এই ভাইরাস ব্যাপক ভাবে ছড়িয়েছে সেই দেশগুলো হয় শীত প্রধান, নয়তো সেখানে শীত ঋতু এখনো চলছে।
২)সাম্প্রতিক অতীতে যে সব ভাইরাস বিশ্বের দেশে দেশে সংক্রমন ও মৃত্যূর কারণ হয়েছিল, যেমন সার্স, মার্স, ইবোলা, এ গুলোর তুলনায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যূর হার অনেক কম (মাত্র ১.২%)।

৩) শিশু, কিশোর ও তরুণরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না বললেই চলে।

আমাদের দেশে গত বছর ডেঙ্গুজ্বর ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। এই রোগে প্রতিবছরই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবার তা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।

সুতরাং করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি আমাদের ডেঙ্গুজ্বরের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা দরকার বলে মনে হয়।

লেখক: এ এস এম আলী কবীর, সাবেক সচিব।

ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এসকেএস