সবকিছুর অভাব নিয়েই গাজায় করোনা লড়াই
প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৫:২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়ও পৌঁছে গেছে করোনাভাইরাস। অর্থ, ডাক্তার-নার্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম- সবকিছুর অভাব নিয়েও সেখানে চলছে বিপর্যয় এড়ানোর লড়াই। মাত্র ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার। এইটুকু ভূমিতেই ১৮ লাখ পঞ্চাশ হাজার মানুষের বাস। করোনার বিস্তার রোধ করা সেখানে তাই খুব কঠিন।
বিদেশ থেকে ফেরা ১৮৬০ জন ফিলিস্তিনীকে রাখা হয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। খোলা হয়েছে মোট ২৬ টি অস্থায়ী কোয়ারান্টাইন সেন্টার। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য গাজার সম্বল মাত্র ৬৩ টি ভেন্টিলেটর এবং ৭৮ টি আইসিইউ শয্যা।
সব বয়সের মানুষকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করতে মাস্ক তৈরি করছেন নিজেরা। নিজের হাতে বিশেষ ধরনের মাস্ক বানাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শিল্পী-সায়মা সায়েদ এবং দোরগান ক্রাকে। নানা রংয়ের ডিজাইন করা মাস্কগুলো সত্যিই আকর্ষণীয়।
খুব ছোট পরিসরের শরণার্থী শিবির এবং সরু সরু গলি সম্বলিত ভূখণ্ডে পরিছন্নতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো খুব দুরুহ। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। করোনা ভাইরাসেল মতো সেজে শিশুদের ভাইরাসটি সম্পর্কে সচেতন করছেন সমাজকর্মীরা।
হামাস এবং কাতার সরকার গাজার পাশে রয়েছে। সম্প্রতি ১০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে কাতার সরকার। জনসচেতনতা বাড়াতে গাজার বেকারিতে বিক্রি হচ্ছে মানুষের চেহারা আঁকা এবং মুখে মাস্ক পরানো বিশেষ ধরনের কেক।
ঢাকা টাইমস/১০এপ্রিল/একে