সীমিত মুসল্লিতে মসজিদে মসজিদে জুমা আদায়

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৬:১৮ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে সীমিত মুসল্লিতে জুমার নামাজ আদায় হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জুমার নামাজ আদায়ে ১০ জন এবং সাধারণ নামাজে পাঁচজন নামাজে অংশ নিতে পারবে বলে যে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ মসজিদে নামাজ আদায় হয়েছে।

জুমার নামাজের দিন বায়তুল মোকাররম যেখানে লোকে লোকারণ্য থাকতো সেই বায়তুল মোকাররম আজ ছিল জনশূন্য। মুসল্লিবিহীন নীরব জাতীয় মসজিদের এমন চিত্র দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মসজিদ তালাবদ্ধ থাকায় নামাজ না পড়ে ফিরে যান অনেক মুসল্লি। এখন তালাবদ্ধ বায়তুল মোকাররম।

সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন উপস্থিত থেকে নিরাপদ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জুমার জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। রাজধানীর বেশিরভাগ মসজিদেরই মূল ফটক ছিলো তালাবদ্ধ। নির্দেশনা অনুসারে, ঘরে বসেই নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

সরেজমিন দেখা যায়, জুমার নামাজ আদায় করার জন্য দুপুরে দিকে অনেক মানুষ জড়ো হন বায়তুল মোকাররম এলাকায়। কিন্তু পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়। দশজন মুসল্লি হয়ে গেলে মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাইতুল মোকাররম ছাড়াও ঢাকার মসজিদগুলোতে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ দশজন নামাজ আদায় করেছেন। অনেক মসজিদে একটার আগেই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর অধিকাংশ মসজিদে এমন চিত্র দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, অনেকে নামাজ পড়ার জন্য আজান শোনার সাথে সাথেই মসজিদের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু মসজিদের প্রধান ফটকে গিয়ে তালা দেখতে পান। জুমার খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গেট না খোলায় তারা বাসায় চলে যান। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। 

 

করোনার সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়াতে মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শুধু নামাজ নয়, সব ধর্মের ব্যক্তিদের ঘরে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। আর সারাদেশে ওয়াজ মাহফিলসহ অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এদিকে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ জন। এছাড়া আরও ৯৪ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর ফলে দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে ৪২৪ জন হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এসএম/এমআর