মৃত্যুদণ্ডের আইনি প্রক্রিয়া কী? আসুন জেনে নেই

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৪৯ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৫৬

মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে যত রকমের সাজা বা শাস্তি আছে তার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। একে বিদেশে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টও বলা হয়ে থাকে। তবে বিশ্বের সব দেশে এই ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদণ্ডকে শাস্তির মাত্রায় বা মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে আইনি স্বীকৃতি দেয় না। অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডকে কঠিন ও নিষ্ঠুর সাজা মনে করেন। বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশে মৃত্যুদণ্ডকে সাজা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে আইনে। যতগুলো শাস্তি প্রদানের মতবাদ বা থিওরি আছে তার মধ্যে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) প্রতিশোধমূলক শাস্তির পর্যায়ে পড়ে যেমনঃ প্রতিশোধমূলক শাস্তি মতবাদটি সার্বজনীন।

অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই ধরনের শাস্তি প্রচলিত। আগে প্রতিশোধমূলক শাস্তিতে ‘চোখের বদলে চোখ’, ‘দাঁতের বদলে দাঁত’, ‘জীবনের বদলে জীবন’ ইত্যাদি শাস্তি প্রচলিত ছিল। যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ করেন, তিনি অনিষ্ট করেন সমাজের তথা দেশের।

অপরাধী অপরাধ করবে, আর রাষ্ট্র তা নীরবে মেনে নেবে,  তা হয় না। হওয়া উচিত নয়। কোনো অপরাধীকে অপরাধ করতে দেখলে একজন শান্ত নাগরিকের মনও দোলায়িত হয়,  তিনিও ওই অপরাধীকে আঘাত করতে চান। কারণ তার মন এই অপরাধের প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু তিনি যদি তা করেন তাহলে সেটাও অপরাধ হয়ে যাবে। তাই রাষ্ট্রই তার কোনো নাগরিক তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা কোনো অপরাধের প্রতিশোধ নিতে চায় শাস্তির মাধ্যমে। আর এটাই হলো প্রতিশোধমূলক শাস্তি।

পৃথিবীর ধর্মশাস্ত্রগুলোতেও প্রতিশোধের বিধান আছে। শাস্তির উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে অপরাধ বিজ্ঞানীরা শাস্তিকে চার প্রকারে বিভক্ত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া বা না দেওয়াকে পৃথিবীব্যাপী তর্ক-বিতর্ক আছে।

সারা পৃথিবীতে অপরাধের মাত্রা ভেদে অনেক ধরনের শাস্তির বিধান থাকলেও বাংলাদেশে প্রায় ছয় ধরনের শাস্তির বিধান আছে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির () ৫৩ ধারায় শাস্তি বা দন্ড কি কি ধরনের হবে তা বিবৃত করা আছে। যেমন-ক) মৃত্যুদণ্ড (ফাঁসি) (Death Penalty), খ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisionment), গ) সশ্রম কারাদণ্ড (Vigorous), ঘ) বিনাশ্রম কারাদণ্ড (Simple Imprisonment), ঙ) সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ (Confiscation), চ) অর্থদণ্ড (জরিমানা) (Fine)।

এইসব শাস্তির বাহিরেও কয়েক ধরনের শাস্তির প্রচলন আছে। যেমন- ক) অক্ষমতা ঘোষণা, খ) দেউলিয়া ঘোষণা এবং গ) চালকের লাইসেন্স বাতিল করা ইত্যাদি।

একটি রাষ্ট্র যা করতে নিষেধ করে ও সেই কাজ যদি কেউ করে অথবা রাষ্ট্র যা করতে আদেশ করে সেই কাজ যদি কেউ করে তবে তা রাষ্ট্রের উপর আঘাতের শামিল হয়। রাষ্ট্র যদি এই অনিয়মের কোনরুপ শাস্তির বিধান না করে তবে রাষ্ট্রে তুমুল বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার সৃষ্টি হবে যা রাষ্ট্রের জন্য অমঙ্গলজনক তাই যেকোনো অনিয়ম বা আইনভঙ্গের জন্য অবশ্যই শাস্তির বিধান রাখা জরুরি।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ একটি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অধঃপতিত শাস্তি। বর্তমান বিশ্বের অর্ধশতকেরও বেশি রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি ধরণ হলো রাষ্ট্র কর্তৃক সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হিসেবে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আইন। ১৯৪৮ সালে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর মাত্র ৮টি দেশ অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানকে বাতিল করে। ১৯৭৭ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ তে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৪২টি দেশ সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আদেশকে বাতিল করে যা বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দেশের সমপরিমাণ। তবে এ দেশগুলোর মধ্যে কেবল ১০২টি দেশ সকল প্রকার অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আইনকে বাতিল ঘোষণা করেছে।

তবে ৫৫টি দেশ তাদের আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখেছে। তবে তার মধ্যে ২২-২৩টি দেশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এগুলোর মধ্যে চায়না, ইরান, সৌদি আরব মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষ দেশ।

২০১৮ সালে সমগ্র বিশ্বে (চীন ব্যতীত) ১৭০০টিরও বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা দেখা যায়, যা ২০১৬-১৭ সালের চেয়ে ৫৪ শতাংশ বেশি। মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রণীত সনদ ৬২/১৪৯ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০০৮ সালে এ সনদটি প্রয়োগ করা হয়। বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান থাকলেও তা কার্যকর করার হার খুব বেশি নয়। বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে ৮টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫টি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫টিসহ প্রায় ডজন দুয়েক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন অপরাধের শাস্তির বিধান করে নিত্য নতুন আইনও পাস করা হচ্ছে। কিন্তু হত্যার মতো অপরাধ তাই বলে কোন দিনই কমে নাই।

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ১৯৯০ সালে যেখানে সারাদেশের খুনের মামলা হয়েছিল ২২০৬টি  এবং ২০১৫ সালে তা ছিল ৪৯৮৮টি। যদিও এই বৃদ্ধি আশঙ্কাজনক কিছু নয়, তবুও মৃত্যুদণ্ডের বিধান এই নিম্ন হারের জন্য দায়ী বলে মনে করার কোন কারণ নেই। যুক্তি হিসাবে অনেকে বলেন, মৃত্যুদণ্ড অপরাধ কমাতে সহায়তা করে না। তবে একটি কেসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ওই যুক্তি অগ্রাহ্য করে BLAST and others Vs State মামলায় পর্যবেক্ষণ বলেছেন “Our social conditions, social and cultural values are completely different from those of western countries. The European Union has abolished death penalty in the context of their social conditions and values, but we cannot totally abolish a sentence of death in our country because the killing of woman for dowry, abduction of woman for prostitution, the abduction of Children for trafficking are so rampant which are totally foreign to those developed countries.” 68 DLR [2016] (AD)1.

বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে অপরাধ প্রমাণিত হয়ে ফাঁসি হলেই যে তাকে মৃত্যুদণ্ডে ফাঁসিতে নিয়ে উহা কার্যকর করা হয় বিষয়টি এমন নয়। নানা আইনি কাঠামো মেনে বা পালন করতে হয়।

বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় প্রধমে পুলিশ মামলা দায়ের হলে উহা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন (চার্জশিট) দেয়। আদালতে ওই চার্জশিট শুনানিতে নিয়ে গ্রহণ করে অভিযোগ গঠন করে অভিযোগের ধরন অনুযায়ী। সাক্ষী-সাবুদ এর জেরা-জবানবন্দি হয়। পলাতক থাকলে আসামির বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধির (Section 339B, CrPC) বিধান ও হত্যা মামলার ক্ষেত্রে LR Manual এর বিধান মতে পলাতক আসামির জন্য রাষ্ট্র সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ করে থাকেন, যাকে State Defence বলা হয়।

রাষ্ট্রীয় খরচে মামলা পরিচালনায় অপরাধ প্রমাণিত হলে পলাতক আসামি পরবর্তীতে গ্রেপ্তার বা আটক বা আত্মসমর্পণ করলে সাধারণত আইনগত কোনো প্রতিকার লাভে হকদার হন না। কারণ আইনের ভাষ্য পলাতক আসামি কোনো আইনি প্রতিকার পেতে হকদার নয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণিত অংশের সাক্ষীর বক্তব্য পাঠ করে শুনাতে হয়। এরপরে আসামি তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী না দিলে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ((Sec. 265J, CrPC) রায়ের দিন ঘোষণা করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয় (Sec. 265K, Cr.PC)।

বাংলাদেশে ৬টি অপরাধ (Offence) আছে যার একমাত্র শাস্তিই হলো মৃত্যুদণ্ড (Mandatory Death Sentence) ১. সংবিধান স্থগিত বা বিলোপ করা, ২. যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত আসামি কর্তৃক হত্যাকাণ্ড, ৩. যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত আসামি কর্তৃক হত্যাচেষ্টা, ৪. যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, ৫. বিমান বাহিনী আইনে বিদ্রোহ, ৬. নৌ বাহিনী আইনে বিদ্রোহ]। সিআরপিসির (Cr.PC) ৩৬৭ ধারার বিধান মতে অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন- যাই দিক- বিচারক কেন এমন শাস্তি দিলো রায়ে তার কারণ উল্লেখ থাকবে।

সিআরপিসির (Cr.PC) ৩৬৮ ধারার বিধান মতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশে লেখতে হয়, 'মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হোক'।

জেলার আদালতগুলোতে সেসস (Session) কোর্টে বা ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড হলেই ফাঁসি কার্যকর হয় আইনি পদক্ষেপ শেষ এমনটি নয় বরং তা শুরু বলা যায় যায়। সিআরপিসির (CrPC) ৩৭১ ও ৩৭৪ ধারার বিধান মতে ১.মৃত্যুদণ্ড হলে আসামিপক্ষকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে মাননীয় হাইকোর্টে আপিল করতে হয়। ২. মৃত্যুদণ্ড প্রদানকারী আদালত বা ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার ৩ কর্মদিবসের  মধ্যে (Rule 118 Cr.R.R.O) সমস্ত কাগজপত্র Confirmation এর জন্য হাইকোর্টে পাঠানোর বিধান আছে। আসামি আপিল না করলেও হাইকোর্ট স্বয়ং (ইপসো ফ্যাক্টো) সবকিছু বিচার বিবেচনা ও রায় ও নিম্ন আদালতের পর্যালোচনা করে রায় দিবে। হাইকোর্টও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে মাননীয় আপিল বিভাগে আপিল করা যায়।

ইতোপূর্বে স্বয়ংক্রিয় (Ipso Facto) ভাবে আপিল বিভাগে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। অবশ্য তারপরে সংবিধান সংশোধন করে বিধান করা হয়েছে সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ মতে আপিল বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে না।

কোনো মানুষের জীবন যেন কোন ভুল বা অন্যায় বিচারের শিকার না হয়, এ জন্য আইনি পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন স্তর রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে আপিল বিভাগও মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখলে তা রিভিউ করা যায়।

দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় মামলার বিচারকার্যে রিভিউ প্রযোজ্য। রিভিউ (Review) কিছু নির্দিষ্ট এবং নির্দেশিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার পুন:নিরীক্ষণকে রিভিউ বলে। বিচার বিভাগীয় প্রত্যেক অঙ্গে রিভিউ সম্ভব। তবে অধিকাংশই ক্ষেত্রেই Review মঞ্জুর হওয়ার নজির নেই। আইনগত লড়াই এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ডিত আসামিকে মামলার ফলাফল জানাবে। আসামি সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ ও জেল কোডের (কারাবিধি) ৯৯১ বিধিমতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা ভিক্ষা (clemency) করার সুযোগ পাবেন।

এক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি মৃত্যুদণ্ড ক্ষমা বা মাফ না করেন, তাহলে আইনের বিধান হলো সে আদেশ প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিন হতে ২৮ (আটাশ) দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জেল কোডের ৯৯৯ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণ ঠিক করার পর আত্মীয়স্বজনকে শেষ দেখা করার জন্য খবর দেয়া হয়।

জেল কোডের ১০০১ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড রাতের যেকোনো সময় কার্যকর করা হয়। জেল কোডের ১০৩ বিধি অনুযায়ী এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ডাক্তার উপস্থিত থাকেন।

সকল আইনি পদক্ষেপ সম্পন্ন হলে ফাঁসির দড়ি বা রশি দণ্ডিতের গলায় লাগানোর পর জেল সুপারের ইশারায় সহকারী লিভার (জল্লাদ) টেনে ফাঁসি কার্যকর করে। জেল কোডের ১০০৬ বিধি অনুযায়ী  ২৫.৪ ডায়ামিটারের ম্যানিলা দড়িতে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার নিয়ম। তবে জেল কোডের ১০০৭ বিধি অনুযায়ী সাধারণত ৫/১০ মিনিট রাখাই মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট হয়। তারপর পোস্টমর্টেম (সুরতহাল) করে লাশ নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে মানবাধিকারের লংঘন বলে যতই মত বা বিরোধিতা থাকুক না কেন হত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আমাদের মত তৃ্তীয় বিশ্বের দেশে এই আইন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মানুষের কল্যাণের স্বার্থেই মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তির বিধান রাখা দরকার। এটা নিষিদ্ধ করা উচিত না।

লেখক: কলামিস্ট, আইন বিশ্লেষক ও গবেষক।