স্বাস্থ্য বুলেটিনে পাঁচ দিন ধরে সুস্থ হওয়ার তথ্য নেই

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৩৯ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৮:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও পাঁচদিন ধরে কোনো রোগীর সুস্থ হওয়ার তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া স্বাস্থ্য বুলেটিনে।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৬ এপ্রিল থেকে ১০এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচদিনে ৩৩৬ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ রোগীর সংখ্যা সেই ৩৩ জনই আছেন।  অর্থাৎ ৫ এপ্রিলের পর কেউ সুস্থ হননি।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।  এক মাসের মধ্যে রোগীর সংখ্যা তিন শতাধিক। যার বেশিরভাগই ৫ এপ্রিলের পর থেকে।

গত ৬ এপ্রিল সোমবার ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন।  তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়।  এদিন কারো সুস্থ হওয়ার জানায়নি আইইডিসিআর।

৭ এপ্রিল আক্রান্ত ৪১ মৃত্যু ৫।  আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন আর নারী ১৩ জন।  এদিনও কেউ সুস্থ হননি।

৮ এপ্রিল বুধবার দেশে করোনা আক্রান্ত ৫৪ ও মৃত্যু তিন জনের।  এরপর ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার একদিনে ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।  তবে গত চারদিনের তুলনায় এদিন মৃত্যু ছিল সবচেয়ে কম ১ জন।  তবে এই দুইদিন কারো সুস্থ হওয়ার তথ্য নেই। আর আজ শুক্রবার গতকালের তুলনায় আক্রান্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। 

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ছয় জন মারা গেছেন।  এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৭।  এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ জন।  সুস্থ হননি কেউ।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে উপস্থিত থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন, নারী ২৫ জন। ১০ বছরের নিচে ৪ জন, ১১-২০ এর মধ্যে ৬, ২১-৩০ এর মধ্যে ১২ জন, ৩১-৪০ এর মধ্যে ২৯, ৪১-৫০ এর মধ্যে ১৬ জন, ৫১-৬০ এর মধ্যে ১৪ এবং বাকিরা ষাটোর্ধ্ব।

তিনি আরো বলেন, নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩৭ জন ঢাকার।  নারায়ণগঞ্জের ১৬ জন। বাকিরা বিভিন্ন জেলার। মৃত ছয়জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, একজন নারী। তিনজন ঢাকার, দুজন নারায়ণগঞ্জের। একজন পটুয়াখালীর।

এছাড়াও বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ছাড়াও শিশুদের আক্রান্তের কথা ও শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এখনো প্রতিষেধক বের হয়নি মহামারি রূপ নেয়া এই করোনাভাইরাসের। ফলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কাছ থেকে বাঁচতে প্রতিরোধই উত্তম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এই ভাইরাস বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, কিছুক্ষণ পরপর অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

এছাড়াও নিজেকে এবং অন্যদেরকেও সুরক্ষিত রাখতে হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।

(ঢাকাটাইমস/ ১০এপ্রিল/ টিএটি/ইএস)