প্রণোদনা পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে: সিএসই

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৪৭

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। তবে এ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সিএসই। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি জনবল সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে দেশের দুটি পুঁজিবাজারই বন্ধ আছে। আমরা আশা করছি, এই প্রণোদনা প্যাকেজটি কার্যকর হলে যখন পুঁজিবাজার তার কার্যক্রম শুরু করবে। তখন এর পজিটিভ প্রভাব দেখতে পাবে।’

গত ৫ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজটি যথেষ্ট সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।

এতে বলা হয়, ‘সোশ্যাল সেফটিনিটি’র আওতায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে টাকা পৌঁছানো এবং ১০ টাকা কেজি চালের বন্দোবস্ত করার ঘোষণাকে আমরা মনে করি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত এবং সময়ের দাবিদার একটি পদক্ষেপ। কেননা, এই মহাদুর্যোগের সময় এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর দৈনন্দিন কর্ম ব্যাহত হচ্ছে এবং হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রসারণকারী মুদ্রানীতির যে ঘোষণা এই প্রণোদনা প্যাকেজে আছে তাতে করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য আভ্যন্তরীণ চাহিদা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল হয়।’

ঘোষণা করা প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে ব্যাংক লাভবান হবে এমন অভিমত ব্যক্তি করে এতে বলা হয়, ‘বৃহৎ শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা সাড়ে ৪ শতাংশ হারে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৪ শতাংশ হারে একটি প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যথেষ্ট লাভবান হবে। বাকি ৯ শতাংশ হারে ইন্টারেস্ট বার্ডেন সরকার শেয়ার করবে। তাই বলা যায়, ব্যাংকের জন্য একটি যথেষ্ট ভালো সুযোগ হবে বলে আমরা আশা করি।’

`ইডিএফ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে ৫ বিলিয়ন করা হয়েছে, যাতে রফতানিকারকরা কিছু সুবিধা পাবেন এবং পূর্ব জাহাজীকরণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ৭ শতাংশ হারে একটি স্কিম রয়েছে যা একটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই মুহূর্তে ঋণ দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে তাদের কর্মচারীদের বেতন দেয়া এবং চলতি মূলধনের জন্য এই ঋণ দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। এই উদ্দেশে সরকারি ও বেসরকারি জনবল সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে।’

(ঢাকা টাইমস/১০এপ্রিল/আরএ/জেবি)