সাবধান! এসিতেও করোনাভাইরাস ছড়ায়

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৫৪ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৩৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম কোবিড-১৯। কোথায় থাকে না এই অদৃশ্য ঘাতক। উঠতে-বসতে, চলাফেরায় তাই সদাসতর্ক সবাই। এটা ছোঁয়া যাবে না। প্রিয়জনকে ধরা যাবে না। এখানে বাতাস নেওয়া যাবে না, ওখানে কারও সঙ্গে মেশা যাবে না- কত সাবধানতার পরও আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ্। এবার জানা যাচ্ছে ঘরের বাতাস ঠান্ডা রাখার যন্ত্র এসিও করোনা ছড়ায়!

ঠিকই শুনেছেন। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (CDC) জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র এ রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ওই গবেষণাপত্রে একটি কেসস্টাডি তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাটি চীনের একটি রেস্তোরার। গানজাংহু প্রদেশে এক রেস্তোরাঁয় ইউহান থেকে এক ব্যক্তি সপরিবার খেতে যান। তার পাশাপাশি এক মিটাররের বেশি দূরত্বে আরও দুটি পরিবার খেতে বসেন অন্য দুটি টেবিলে। সামনে ছিল একটি  এসি।  পরবর্তী সময় দেখা যায় ওই তিন পরিবারের মোট ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় একই সময়ে। তাদের মধ্যে ইউহান ফেরত ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়।

এই তিন টেবিলের কেউই অন্য টেবিলের কাউকে স্পর্শ  করেননি, কিংবা কাছে যাননি। এত দূরে বসার পরও সবাই কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কেন?

সাধারণ স্পর্শের বাইরে ড্রপলেটের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়ায়। কথা বলা, হাঁচি,কাশির ফলে যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা আয়তনে প্রায় ৫ মাইক্রোমিটারের বেশি । এত বড় কণার পক্ষে এক মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত যাওয়া কঠিন। তাই সেটা এক মিটারের বা তিন ফুটের মধ্যে থিতিয়ে পড়ে। এ জন্য তিন ফুট কিংবা অধিকতর সতর্কতা হিসেবে ছয় ফুট দূরত্বকে এখন ‘সামাজিক দূরত্ব’ বলা হচ্ছে।   

বিজ্ঞানীদের মত, যে ড্রপলেটের এক মিটারের মধ্যে লুটিয়ে পড়ার কথা, এয়ার কন্ডিশনের বায়ুপ্রবাহ সেগুলোকে অনেকটা বেশি দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে এসির ব্যবহার বন্ধ করাই শ্রেয়।

তা না হলে সেন্ট্রাল এসি আছে এমন জায়গা থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের একটু দূরে রাখতে হবে। সেন্ট্রাল এসি আছে এমন হাসপাতালে প্রতি দুজন রোগীর মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়াতে হবে।

আপনি যখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে জরুরি কেনাকাটা করতে যাবেন, তখন সেখানে এসির ব্লোয়ার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

বাড়িতে এসি চালাতে হলে, আগে সার্ভিসি করিয়ে নিন। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে এসির মধ্যে তৈরি হয়ে যায় অনেক ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক। হঠাৎ করে চালিয়ে দিলে সেইগুলো ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিসের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে।

 এসি চালালে দিনের কোনো একটা সময় অন্তত জানালা-দরজা খুলে পর্দা সরিয়ে দিন। ঘরে সূর্যের আলো আসতে দিন।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/মোআ)