করোনা টেস্ট, রোগী ব্যবস্থাপনা ও মৃত্যুহার

গুরুত্বপূর্ণ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৫৫ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০, ২০:৩৪

ড. আসিফ আহমেদ

বাংলাদেশ সরকার গত ১৮ মার্চ সার্স-কভ-২ রোগে প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। এখন পর্যন্ত (১০ এপ্রিল ২০২০) এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২৭ এবং মোট আক্রান্ত ৪২৪ জন। বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষা করার জায়গা প্রথমে কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়ানো হচ্ছে। ফলে গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, সর্দি, জ্বর, কাশি উপসর্গ নিয়ে বেশ কিছু মৃত্যুর খবর এলেও তার সবগুলো নমুনা সময়মতো পরীক্ষা করে তালিকা ধরে মৃত্যুর সঠিক কারণ গণমাধ্যমকে জানানো হচ্ছে কি না সেটা পরিষ্কার নয়।

দেশে মূল আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে, কারণ অনেক দেশের তুলনায় আমরা বেশি সংখ্যায় ও দ্রুততার সঙ্গে পরীক্ষা সম্পাদন করতে পারছি না। তবু এই সরকারি হিসাবকে মানদণ্ড ধরে নিয়েই অন্য দেশগুলোর তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমাদের নিজেদের দেশের জন্য সিদ্ধান্তের ছক তৈরি করা প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সর্বাধুনিক বলে আমরা জানি, তারাও প্রথম দিকে ভাইরাসটির ভয়াবহতা আঁচ করতে পারেনি। এর অন্যতম একটি কারণ রাজনৈতিক হলেও, গবেষকদের আর্টিকেল থেকে দেখা যায় শুরুর দিকে তাদের তথ্য-উপাত্ত কোভিড-১৯ কে আর দশটা শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসের মতোই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিল। ফ্রান্সের মার্সেইল শহরের দুটি গবেষণা আর্টিকেল থেকে বিষয়টা কিছুটা পরিষ্কার হবে।

ফ্রান্সে কোভিড-১৯ রোগী  প্রথম শনাক্ত হয় ২৪ জানুয়ারি। ফ্রান্সের মার্সেইলের কয়েকটি হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ‘ইউরোসার্ভেইলেন্স’ জার্নালে ২১ ফেব্রুয়ারি একটি লেখা পাঠান যা ছাপা হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর প্রধান লেখক ফিলিপ কোলসন। লেখাটির শিরোনাম ছিল- ‘Letter to the editor: Plenty of coronaviruses but no SARS-CoV-2’। তারা ১১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে প্রকাশিত হওয়া আরেকটি আর্টিকেলের প্রতিউত্তর দেন, যেখানে প্রধান লেখক রাসকেনসহ গবেষকরা নতুন কোভিড-১৯ বা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের জন্য ইউরোপের দেশগুলোর বিশেষজ্ঞ ল্যাবের প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছিলেন। ওই আর্টিকেলের জবাবে কোলসনরা বলেন, ২০১২ সালে যখন মার্স করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিল তখনও ফ্রান্স আতঙ্কিত হয়েছিল, কিন্তু শ্বাসতন্ত্রের রোগীদের পরীক্ষা করে তারা দেখেছিল মার্স-এর জীবাণুর পরিবর্তে ইনফ্লুয়েঞ্জা ‘এ’ ও ‘বি’-এর সংক্রমণই রয়েছে রোগীদের ভেতর। তাই তারা এখনো মনে করে ২০১৯-এর শেষে আবির্ভূত হওয়া নতুন কোভিড-১৯ নিয়েও অতিরিক্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর পক্ষে তারা কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

ফ্রান্সের মার্সেইল-এর ইনস্টিটিউটটি জানুয়ারির শেষ দিকে সার্স-কভ-২ এর পিসিআর ভিত্তিক পরীক্ষা শুরু করে। ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা ৪০৮৪টি শ্বাসতন্ত্রের নমুনা পরীক্ষা করে। ৩২ জন সন্দেহভাজন সার্স-কভ-২ এর নমুনা, ৩৩৭ জন চীনফেরত ব্যক্তির নমুনা যারা ফেব্রুয়ারির পর ফ্রান্সে ফেরেন এবং তাদের নমুনা দুবার করে পরীক্ষা করা হয়, ১৪৭ মৃত ব্যক্তির নমুনা যারা ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর ভিতর মারা যান, এ ছাড়াও জানুয়ারি ২০২০-এর পর ৩,২১৪ জনের নমুনা তারা পরীক্ষা করেন। এসব নমুনায় তারা মোট ৩,৩৮০টির ভিতর শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসের দেখা পান। যার মধ্যে ৭৯৪টিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস, ৫৮৮টিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস, ৫৬৭টিতে রাইনোভাইরাস, ৩৬১টিতে সিন্সাইশিয়াল ভাইরাস, ২২৬টিতে এডিনোভাইরাস, ১৯২টিতে মেটানিউমোভাইরাস, ১৭১টিতে এন্টারোভাইরাস, ৮৩টিতে বোকাভাইরাস, ২৪টিতে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এবং ৮টিতে পারিকোভাইরাসের দেখা মেলে। এ ছাড়া ৩৭৩টি নমুনায় চার প্রকারের হিউম্যান করোনভাইরাসের দেখাও পান তারা। কিন্তু কোনো নমুনায় নতুন সার্স-কভ-২ এর দেখা মেলেনি।

জানুয়ারির পর শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় যে ১৪ জন মারা গিয়েছিলেন, তাদের একজন হিউম্যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন, বাকি ১৩ জন উপরের অন্য ভাইরাসগুলোতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ তথ্য থেকে তারা এটাই দাবি করেন যে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা ও মৃত্যুর জন্য অন্য ভাইরাস এবং চার প্রকার হিউম্যান করোনভাইরাসকে বাদ দিয়ে নতুন সার্স-কভ-২ নিয়ে আতঙ্ক করলে চলবে না। এই আর্টিকেলের জবাবে রাসকেন গ্রুপ জানান যে নতুন ভাইরাস পরীক্ষার পাশাপাশি অন্য সব শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসের পরীক্ষাও আসলে জরুরি। অনেক সময় একই ব্যক্তি একাধিক ভাইরাসেও আক্রান্ত হন। এবং এসব তথ্য জানা থাকলে গবেষক ও চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।

ফিলিপ কোলসনের গ্রুপ ১৪ মার্চ ২০২০, Travel Medicine and Infectious Disease জার্নালে আরেকটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে ৩১ জানুয়ারি থেকে ০১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত সার্স-কভ-২ সন্দেহভাজন ২৮০টি নমুনা তারা পরীক্ষা করেন। প্রতিটি নমুনাতেই সার্স-কভ-২ সহ মোট ১৩টি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না তা যাচাই করা হয়। ৫১.১% রোগীর ভিতর তারা কোনো ভাইরাসের দেখা পাননি। বাকিদের ভিতর এক বা একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও কোনো নমুনাতেই তারা সার্স-কভ-২ সংক্রমণ পাননি।

ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রকাশিত এই তথ্য থেকে কয়েকটা বিষয় সামনে আসে। ফ্রান্সে ২৪ জানুয়ারি প্রথম রোগী শনাক্ত হবার পর এ রোগে প্রথম মৃত্যু ১৫ ফেব্রুয়ারি। হয়তো মার্সেইল শহরে তখনো এই ভাইরাস সংক্রমিত রোগী আসেনি। তাই তারা কোনো সার্স-কভ-২ পজিটিভ পাননি। এছাড়া অন্যান্য ভাইরাস ও চার প্রকার হিউম্যান করোনাভাইরাস যে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা তৈরি করছে সেটি স্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। এতগুলো ভাইরাস শনাক্ত করার সক্ষমতা থাকার ফলে তারা আরো খানিকটা নিশ্চিত হচ্ছিলেন যে কোভিড-১৯ সেভাবে এখনো প্রাদুর্ভাব হয়নি। অথচ প্রথম মৃত্যুর ৩৮ দিনের মাথায় ২৪ মার্চ ২০২০ ফ্রান্সে সার্স-কভ-২ এর মৃত্যু ১০০০ পেরিয়ে যায়। বাংলাদেশে যেহেতু এ ধরনের নিয়মিতভাবে নমুনা পরীক্ষার সুবিধা নাই, ডাটাবেজও নাই, তাই আমরা জানতেও পারছি না কোন রোগী আসলে কোন ভাইরাসের জন্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। কিংবা গত এক বছরে বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর অনুপাতই কত ছিল।

বিভিন্ন দেশের কোভিড-১৯ মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, খুব অল্প সময়েই তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যেমন ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ১০০০ জনে পৌঁছাতে প্রায় ৩৮ দিন সময় লেগেছে, অথচ স্পেনে লেগেছে মাত্র ১৭ দিন। কয়েকটি দেশের গড় থেকে দেখা যাচ্ছে, এই সময় প্রায় ২৪ দিন (টেবিল ১)। সার্স-কভ-২ এর জটিলতা অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বিধায় দেশ থেকে দেশে এর রূপ-প্রকৃতি আলাদা হচ্ছে। প্রথমত, যেহেতু এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে, তাই মানুষ কতটা পরিচ্ছন্ন থাকছে, কতটা অন্যের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকছে সেটা বড় একটি বিষয়। এছাড়া একটি দেশে ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা, তাদের অন্যান্য রোগ-ব্যাধির ইতিহাস, তাদের জেনেটিক্স, ভাইরাসের মিউটেশন পরবর্তী অবস্থা, দেশটির তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, সর্বোপরি হাসপাতালে বিশেষায়িত সেবার সক্ষমতা ও মান মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ করে।

এসব তথ্য থেকে কোনোভাবেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি হালকাভাবে নেবার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের দৈনিক সার্স-কভ-২ এর পরীক্ষার সংখ্যা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় অপ্রতুল এবং জনবহুল আমাদের এই দেশ, তাই প্রথম মৃত্যুর সময় থেকে অন্তত দেড় থেকে দু মাস (প্রায় মে মাসের মাঝামাঝি) কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইক্ষেত্রে সংক্রমন সমাজে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া কমাতে সাধারন জনগনণকে মূখ্য ভূমিকা নিতে হবে, পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনী এবং প্রশাসন একটি বড় ভূমিকা রাখছে।

টেবিল ১: কয়েকটি দেশের সার্স-কভ-২ এর পারস্পরিক তুলনা

দেশ

সর্বমোট মৃত্যু (০৯ এপ্রিল ২০২০ এর তথ্য অনুযায়ি)

প্রথম মৃত্যু

১০০০+ মৃত্যু

কত তম দিনে

ইতালি

১৮,২৭৯

ফেব্রুয়ারি ২১

মার্চ ১২- ২০ দিন

ইউএসএ

১৬,৬৯৭

ফেব্রুয়ারি ২৯

মার্চ ২৫- ২৫ দিন

স্পেন

১৫,৪৪৭

মার্চ ০৩

মার্চ ২০- ১৭ দিন

ফ্রান্স

১২,২১০

ফেব্রুয়ারি ১৫

মার্চ ২৪- ৩৮ দিন

ইউকে

৭,৯৭৮

মার্চ ০৫

মার্চ ২৮- ২৩ দিন

জার্মানি

২,৬০৭

মার্চ ০৯

এপ্রিল ০২- ২৪ দিন

সুইডেন

৭৯৩

মার্চ ১১

-

বাংলাদেশ

২১

মার্চ ১৮

-

[ প্রথম মৃত্যু থেকে গড়ে ২৪ দিন পর মৃত্যুর সংখ্যা ১০০০+, তথ্য সূত্র- ওয়ার্ল্ডোমিটার]

ইউরোপের অন্যান্য দেশ বা আমেরিকার মতো রোগী বৃদ্ধি বা মৃত্যুর কার্ভ আমাদের হবে এমন নিশ্চিত করে বলা যায় না, তার পরও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নেই। সার্স-কভ-২ বিশ্বজুড়ে যে বন্দিদশা তৈরি করে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে ও দ্রুততার সাথে রোগী শনাক্তই আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের সবথেকে কার্যকর মনে হচ্ছে। এমনকি গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পিসিআর টেস্টে ভাইরাস সনাক্তের পাশাপাশি, সাধারণ জনগণের শরীরে সংক্রমণ পরবর্তী এন্টিবডির উপস্থিতি আছে কিনা সেটি WHO অনুমোদিত কিট ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে জানার ব্যবস্থা করতে হবে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের প্রফেসর জুলিয়ান পেটো দি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে দ্রুত সমস্ত ইউকের নাগরিকের প্রতি সপ্তাহে কিট ভিত্তিক এবং পিসিআর ভিত্তিক টেস্টের পরামর্শ দিয়েছেন। এই কাজে পোস্টাল সার্ভিস, এমাজন, সমস্ত গবেষণা কেন্দ্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে কাজে লাগাতে অনুরোধ করেছেন তিনি। একই সাথে ধাপে ধাপে নেগেটিভ ফল আসা মানুষদের ছোট ছোট ক্লাস্টারে অল্প পরিসরে দৈনন্দিন কাজে ফিরে যাবার সুযোগ তৈরির পরামর্শ ও দেন তিনি। তিনি আশাবাদি এরকম ক্রাশ টেস্টিং দ্রুততম সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে ইউকের নাগরিক দের।

উন্নত অনেক দেশই তাদের সক্ষমতা থাকার পরও এই ভাইরাসের সম্ভাব্য গতি নিরূপণ করতে পারেনি। তবে পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ রোগীর চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রনে আমাদের থেকে দক্ষভাবে মোকাবেলা করার সব রকম কাঠামো তাদের রয়েছে। এ থেকে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অতি জরুরি শিক্ষা গ্রহণ ও প্রয়োজন, কেবল বিপদের সময় নয়, সব সময়ের জন্য স্বাস্থ্য খাত, গবেষণা খাত, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বমানের জায়গায় নিয়ে যেতে না পারলে এ ধরনের পরিস্থিতি লম্বা সময় ধরে সামাল দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। নিজ দেশের গবেষনার সক্ষমতা, শক্তিশালি তথ্যভান্ডার থাকলে দ্রুত সেটা পর্যবেক্ষন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ, নাহলে অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো এবং অন্যের তথ্যের দিকে তাকিয়ে ছাড়া থাকা আর তেমন কিছুই করার থাকে না। এখনো যেটুকু সুযোগ আমাদের হাতে রয়েছে আমরা সবাই মিলে এর সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো, এই আশা আমাদের সবার।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন,

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

ই-মেইল: [email protected]