‘করোনা’ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানোর অভিযোগ চালকের বিরুদ্ধে

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০২০, ২৩:২৩

শেরপুরের ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, নার্সসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযোগ ওঠেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই অ্যাম্বুলেন্সচালক অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়ে রোগীদের নমুনা সংগ্রহে চালকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ৮ এপ্রিল ওই চালকের নমুনা সংগ্রহের পরও করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেননি। বরং ওই চালককে সাথে নিয়ে করোনা উপসর্গের রোগীদের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

অন্যদিকে প্রমাণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান মানিককুড়া গ্রামের বাসিন্দা জামান আহমেদ জানান, ৮ এপ্রিল দুপুরে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চালক ও চিকিৎসকরা আমাদের গ্রামের জ্বর ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত এক রোগীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে আসেন। ওই চালকের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাতে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আতঙ্কের। চালকের নুমনা সংগ্রহের পরেও তাকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালানো ঠিক হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ওই চালক ও ডাক্তাররা ৯ এপ্রিল উপজেলার চাপাঝোড়া গ্রামে জ্বর ও শ্বাস কষ্টে মারা যাওয়া এক শিশুর পরিবারের চার সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করতে যান। এ ঘটনায় তিনি ও ওই পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে তিনি জানান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন করোনা উপসর্গের রোগীদের নমুনা পাঠানো বাধ্যতামূলক। ৮ এপ্রিল রোগী না পাওয়া যাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের নমুনা পাঠানো হয়। পরে জানতে পারি তিনি করোনা পজিটিভ। তার দেহে করোনার কোন উপসর্গ ছিল না। তাই তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, উপসর্গ থাকলে অবশ্যই তার সঙ্গে যাতায়াত করতাম না। ৮ ও ৯ এপ্রিল অ্যাম্বুলেন্সে তার পাশের সিটে বসে যাতায়াত করেছি। রিপোর্ট ভুলও হতে পারে। তাই তার নমুনা আবার পরীক্ষার জন্য শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হবে। সেই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মীদেরও নমুনা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যদি কোন ব্যক্তির দেহ থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নির্দেশের ব্যত্যয় ঘটলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :