জর্ডানে বাংলাদেশিদের মাঝে দূতাবাসের খাদ্য বিতরণ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ নির্দেশনায় দূতাবাসগুলো বাংলাদেশিদের সাহায্য করেছে। এ প্রেক্ষিতে জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস জর্ডানে চলমান কারফিউের কারণে যেসব বাংলাদেশি খাদ্য সংকটে আছেন তাদের সাহায্যার্থে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাস রাজধানী আম্মানের মাহাত্তা ও জাবাল হোসেন এলাকায় রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব ( শ্রম) মনিরুজ্জামান ও দূতালয় প্রধান মো. বশির খাদ্য বিতরণ করেছেন।

খাদ্য বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জর্ডান শাখার সাধারণ সম্পাদক এএস শ্যামল, প্রবাসী নাট্য-শিল্পী একাডেমির সভাপতি আন্না হাওলাদার, ফজিলাতুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম স্বপনসহ বিভিন্ন প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতারা।

খাদ্য সংকটে থাকা ব্যক্তিদের একটি তালিকা ইতোমধ্যে দূতাবাস তৈরি করেছে। এছাড়াও দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজ ও হট-লাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যারা যোগাযোগ করছেন তাদের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এই হট-লাইনের মাধ্যমে কেউ খাদ্য সঙ্কটে থাকলে দূতাবাসকে জানাতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, তালিকায় কেউ বাদ পড়লেও প্রকৃত খাদ্য সংকটে থাকা কোনো ব্যক্তি দূতাবাসকে জানালে প্রত্যোককেই এই সহযোগিতা দেয়া হবে।

এজন্য পাসপোর্টের কপিসহ তথ্যগুলো দূতাবাসের ইমেইল: [email protected] অথবা হোয়াটস্অ্যাপে (+962799541403) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জর্ডানে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই এখানকার পোশাকশিল্প কারখানা অথবা গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। জর্ডান সরকার ঘোষণা দিয়েছে এসব শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময়ে তাদের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য। এ বিষয়ে দূতাবাস সার্বক্ষণিক জর্ডানের পোশাক কারখানার মালিক ও গৃহ শ্রমিক নিয়োগদাতা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

জর্ডানে প্রায় ১০-১৫ হাজার বাংলাদেশি আছেন যারা ফ্রি ভিসায় নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেন অথবা দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাদের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার শ্রমিকের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/কেএম)