হাওরে ধান কাটলেই ত্রাণ দেয়ার ঘোষণা সুনামগঞ্জ ডিসির

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২০, ১৬:২০

করোনাভাইরাস আতঙ্কে জমিতে ধান কাটতে আগ্রহ নেই শ্রমিকদের। বাইরের শ্রমিকরাও গত দুই দশক আগ থেকেই আসছেন না। কিন্তু হাওরে প্রচুর পাকা ধান। বছরের একমাত্র ফসলের এই অবস্থা দেখে পাকা ধান নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন হাওরের তিন লাখ বোরো চাষী। এজন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ শুক্রবার রাতে ধানকাটা শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে তাদেরকে রিলিফের আওতায় আনা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন।

এছাড়াও হাওরের স্থানীয় কৃষকদের ধান কাটতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। জেলার সব বালু ও পাথর মহালে কাজ বন্ধ রেখে সেখানকার শ্রমিকসহ জেলার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ঠেলাগাড়ি চালকসহ শ্রমজীবীদের ধান কাটায় পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি ধানকাটার সুবিধার্থে হাওরের সব বিদ্যালয়কে সামাজিক দূরত্ব মেনে রাতে শ্রমিকদের থাকতে স্কুল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের এমন ঘোষণায় শ্রমিকরা ধান কাটতে উৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন হাওরের কৃষক ও সুধীজন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এই জেলা একফসলি জেলা। ফসলের জন্য বড় বাজেট দিয়ে বাঁধের কাজও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন ফসল তোলার মওসুম। কিন্তু করোনার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাই কৃষকের শ্রমঘামের ফসল গোলায় উঠুক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাওরের প্রতি ভীষণ আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ধানকাটার শ্রমিকদের রাতে থাকার ব্যবস্থার জন্য স্কুল ব্যবহারের পাশাপাশি আমরা তাদেরকে ত্রাণ দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক হাওরে দুই লাখ ১৯ হাজার ৪০০ হেক্টর বোরো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর। বিআর ২৮, ২৯সহ হ্ইাব্রিড, উফশীসহ কিছু স্থানীয় জাতের ধানও আবাদ হয়েছে। এবার ৫২টি হাওরের ফসলরক্ষার জন্য ৬৪০ কিলোমিটার ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকার প্রাথমিকভাবে ৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৩২ কোটি টাকার মোট বাজেট চেয়েছে। এখন হাওরের ফসল কাটার মওসুম। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে প্রতিটি হাওরে একযোগে ধানকাটার ধুম পড়বে।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :