কুমিল্লায় তিনজনের করোনা শনাক্ত, একজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় এক কুস্তিগীরসহ আরো তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন বুড়িচংয়ের জিয়াপুর গ্রামে আক্রান্ত হওয়া দুই শিশুর ফুপু, আরেকজন দেবিদ্বারের নবীয়াবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী এবং অন্যজন তিতাস উপজেলার মৌটুপি গ্রামের এক কুস্তিগীর। দেবিদ্বারের নবীয়াবাদের ব্যক্তি শনিবার নারায়ণগঞ্জে মারা গেছেন। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান। এ নিয়ে কুমিল্লার ছয়জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হলো।
বুড়িচংয়ের জিয়াপুরের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার মা সাহেদা খাতুন ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৫ এপ্রিল মারা যান। পরে তারা কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এখানে আসার পর তাদের দুই শিশুর ৯ এপ্রিল করোনার ফলাফল পজেটিভ হয়। সেদিন জিয়াপুর গ্রাম লকডাউন করে প্রশাসন। শনিবার শিশুদের ৫০ বছর বয়সী এক ফুপুরও করোনা ফলাফল পজেটিভ হয়।
এদিকে গত ৯ এপ্রিল তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি গ্রামের ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আক্রান্ত হন। তিনি ঢাকায় চালকলে কাজ করতেন। তার স্ত্রী পাশের চার গ্রামের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়ায় প্রশাসন বিরামকান্দিসহ চারটি গ্রাম লকডাউন করে। শনিবার তিতাসের মৌটুপি গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী এক কুস্তিগীর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া দেবিদ্বার উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামের এক ব্যবসায়ী জীবন কৃষ্ণ সাহা (৫৫) করোনা পজিটিভ হয়ে নারায়ণগঞ্জে মারা যান। তিনি ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেবিদ্বারের নিজ বাড়িতে চারদিন অবস্থান করেন। ৯ এপ্রিল দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষ নবীয়াবাদে চলে যান। ওই দিন বিকালে স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শনিবার সকালে তার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার পথে মারা যান।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমেদ কবির বলেন, ৯ এপ্রিল জীবন কৃষ্ণ সাহার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার তার করোনার পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/কেএম)