ফোনেই মিলছে খাবার, রাতে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ
মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ। ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ স্লোগানকে লালন করে যেন শপথ নিয়েছে করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে ছায়ার মত থাকবে সবসময়। তাই তো কিছু অসহায়, অসচ্ছল, শ্রমিক, দুস্থ, লেবার ফোন দিয়েই পেল খাদ্যসামগ্রী। রবিবার গভীর রাতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
করোনায় কর্মহীন হয়েছে এ উপজেলার কর্মজীবী পেশার লোকজন। অসহায়, অসচ্ছল, শ্রমিক, দুস্থ, লেবার, বাড়ির কাজের লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এমনকি কেউ কারও বাড়িতে কাজের লোকও নিচ্ছে না।
রবিবার একটি ফোন কলের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পারে বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা ক্যানেল সংলগ্ন একটি বাড়িতে ৬০ বছর বয়সের বিধবার বসবাস। নেই কোন সন্তান। মানুষের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে কোনভাবে জীবন চালাতো। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশংকায় তার অবলম্বেনের কাজটিও বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে নেই কোন খাবার। এ খবর পেয়েই গভীর রাতে থানা পুলিশের তরফ থেকে তার জন্য খাবার নিয়ে ছুটে যান কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক ও কিছু পুলিশ সদস্য। তার হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী। রবিবার এরকম ১২টি পরিবারের হাতে থানা পুলিশ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
খাবার পেয়ে ওই বৃদ্ধা বিধবা জানান, আমি অবাক হয়েছি যখন পুলিশ এসে আমার বাড়িতে ডাক দিয়ে হাতে খাবার তুলে দিয়েছে। আমি চিন্তাই করতে পারেনি ফোনেই মিলবে খাবার।
মফিজুল হক জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অনেক লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকের বাড়িতে খাবার না থাকলেও কাউকে বলতে পারছে না। এ রকম লোকজন ফোন করলেই আমরা তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। সোমবারও কিছু লোকের বাড়িতে খাবার নেই ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাদের বাড়িতেও খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এলএ)