ঝালকাঠিতে অপহরণের তিন দিন পর ছাত্রলীগ নেতা উদ্ধার

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২০, ২২:০১

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঝালকাঠির নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জুয়েলকে ঘর থেকে ডেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নেওয়ার তিন দিন পর তালতলা বাজার সংলগ্ন নাপিতবাড়ির পোলের পার্শ্ব থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে পুলিশের পরামর্শে নলছিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শেবাচিম-এ ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জুয়েলের বাবা মজিবর হাওলাদার বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দলীয় কোন্দলে জাড়িয়ে পড়ে তার ছেলে। এর সুত্র ধরে ১১ এপ্রিল তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এক বাড়িতে আশ্রায় নিলে সেখান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রবিবার সকালে জুয়েলের মা নলছিটি থানায় গেলে থানা চত্বরে উপস্থিত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সিফাত হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে পুত্রের সন্ধানে রবিবার দুপুর ১টার দিকে মুকুল বেগম ঝালকাঠি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলে দেখা না পেয়ে একটি ফোন নাম্বারে কোন অভিযোগ থাকলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এ অবস্থায় সেখান থেকে রাস্তায় বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে দেখা হলে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ জানিয়ে পুত্রকে ফিরে পেতে আহাজারি করেন। এরপর তিন দিন পরে আজ সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মান্নান সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার ঘটনা ভিন্ন স্থানে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলেও তা ওসি স্যার গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সিফাত ও সেক্রেটারি তরিকুল জানান, অপকর্মের দায় এড়াতে জুয়েল আত্মগোপন করে গুমের নাটক করছে। আমরা তাকে মারধর বা গুম কোন ঘটনার সাথেই জড়িত নই।

নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তার ফিরে না আসায় জিডি করতে আসেনি। আজ সকালে আমাকে জানানোর পরে আমি হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছি। তারা অভিযোগ দিতে এসেছিল। ঘটনা সাজানো, তাই আমি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেইনি।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এলএ)