কুমিল্লায় ১০৭৮ কেজি সরকারি চাল জব্দ

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২০, ২৩:২৩ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০, ২৩:৫৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া সরকারি চালের বস্তা খুলে মুদি দোকানের গোডাউনে রেখে বিক্রির অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দুইজনকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ স্থানীয় ইউপি মেম্বার এবং ১০ টাকা দরে বিক্রিত চালের ডিলার। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

অভিযানের পর জানা যায়, সুলভ মূল্যে বিক্রি হওয়া ৫৪৮ কেজি চাল মুদি দোকানের গোডাউনে রেখে বিক্রি এবং ৫৩০ কেজি চাল ভুষির গোডাউনে সরিয়ে রাখার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডিলার আবদুস সামাদ মেম্বারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে মেম্বারের সহযোগিতায় সরকারি চাল মুদি দোকানে রেখে বিক্রি করায় মনির হোসেন নামে এক দোকানিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

চাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার জানান, ১০ টাকা দরে কেজি চাল কার্ডধারী গরিব ও দরিদ্রদের মাঝে বিক্রি না করে ভুষির গোডাউনে এবং মুদি দোকাদের গোডাউনে রেখে বিক্রি হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেরার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর বাজারের ডিলার ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবদুস সামাদ মেম্বার নিজ গোডাউন এবং আরেকজন মুদি দোকানের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে বস্তা থেকে খুলে ৫, ১০ ও ১৫ কেজি করে পলিথিনের প্যাকেটে রাখা অবস্থায় ১০৭৮ কেজি চাল জব্দ করা হয়। 

অভিযানে উপযুক্ত প্রমাণেরভিত্তিতে ডিলার আবদুস সামাদ মেম্বারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সরকারি চাল রাখায় পাশের মুদি দোকানদারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযোগ স্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা ডিলার আবদুস সামাদ মেম্বার জানান, সরকারি চাল প্যাকেটজাত করাই ছিল আমার অপরাধ। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে আসা চাল আমি আমার এলাকার সকল কার্ডধারী গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। কিছু চাল গোডাউনে রেখেছি করোনা দুর্যোগে খাদ্য সংকটে পড়া এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য। ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই কারণে আমাকে ও মুদি দোকানের গোডাউনের মালিককে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। কিন্তু কতিপয় ডিলার করোনা দুর্যোগের সংকটের সুযোগে নিয়ে গরিবের চাল প্যাকেটজাত করে বিক্রির দায়ে জরিমানার পর নগদ টাকা পরিশোধ এবং অপরাধ স্বীকার করায় কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সতর্ক করা হয়েছে চৌদ্দগ্রামে এই ধরনের আর কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে অর্থ ও কারাদণ্ড দুইটাই প্রদান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/এলএ)