বোরহানউদ্দিনের ইউএনওর বিরুদ্ধে কারণদর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল ২০২০, ২১:১০

ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-এর বিরুদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত কারণদর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহার ও সুয়োমোটো নথির কার্যক্রম খারিজ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এ কারণদর্শানো নোটিশ বাতিল করে দেয়।

ভোলার জেলা ও দায়রা জজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল বোরহানউদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তার নিয়মিত প্রশাসনিক কাজ এবং code of criminal procedures এর ১৯০ ধারা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কৃতকার্য এ আদালতের ব্যাখ্যা তলবের সুযোগ না থাকায় সুয়োমোটোটি বাতিল ও জারিকৃত নোটিশটি প্রত্যাহার করা হলো।

প্রকৃতপক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন ২০০৯ এর ধারা ১৪ মোতাবেক কাজের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না। এছাড়াও সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ এর ১২১ ধারা মতে, কোনো আদালতের নিয়ন্ত্রণকারী আদালত ছাড়া ওই আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে অন্য কোনো আদালত কারণদর্শাতে পারে না। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়ন্ত্রণকারী আদালত হলো হাইকোর্ট।

এ ক্ষেত্রে ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফরিদ আলমের পদক্ষেপটি তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত ছিল, তাই সুয়োমোটো কারণদর্শানোটি বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী জানান, গত ১৫ এপ্রিল সকালে গোপন সংবাদে উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনি নয় বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি বস্তায় চাল রাখার কারণে সরকারি চালের অপব্যবহার করায় আব্দুল মান্নানকে ২৫ হাজার এবং ছেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, উদ্ধার চাল ওএমএসের চাল নয়, এটি দৌলতখান উপজেলার দুর্যোগের ঘরনির্মাণ কাজের মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ চাল, যা অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় ক্রয় করে এনে সরকারি বস্তায়ই সংরক্ষণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম বোরাহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির উদ্দিন গাজী ও ওসি এনামুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি চাল পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করায় কারণদর্শানোর নোটিশ জারি করেন। যার সুয়ামোট মামলা নং-০১/২০২০ (বোরাহানউদ্দিন)। ২৮ এপ্রিল মোবাইল কোর্ট পরিচালনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ও আইনানুগ ব্যাখ্যাসহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলমের আদালতে উপস্থাপনের জন্য ইউএনও ও থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :