বাগেরহাটে ৩০ হাট খোলা জায়গায় স্থানান্তর

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২০, ১৫:১৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে বাগেরহাটের জনসমাগম হওয়া বড় বড় হাটবাজারগুলোকে স্থানান্তর করার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই জেলার অধিকাংশ মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মানায় জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত এক সপ্তাহে জেলার অন্তত ৩০টি বড় হাটবাজার পাশের স্কুল অথবা খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে এসব হাটবাজার নিয়মিত বসতে শুরু করেছে।

জেলায় জনসমাগমের বড় হাটের মধ্যে রয়েছে- হযরত খানজাহানের মাজারহাট, চুলকাঠি, সিঅ্যান্ডবি বাজার, যাত্রাপুর, বারুইপাড়া, ফকিরহাট, বাধাল, চাকশ্রী,  পোলেরহাট, ফয়লাহাট।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বড় জায়গা হচ্ছে হাট বাজার। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এই হাটগুলোতে এখানকার মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মেনে বাজারঘাট করে আসছিল। যা করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমার উপজেলার অন্তত দশটি বড় হাটকে স্থানান্তর করে স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে নিয়েছি। গত মঙ্গলবার থেকে এসব হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দুই মিটার দূরত্ব মেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি শুরু করেছে। এখান মানুষজনও এখন সামজিক দূরত্ব মেনে কেনাকাটা করতে পারছে।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১৬০টি হাটবাজার রয়েছে। এসব হাট সপ্তাহে দুদিন বসে থাকে। এর মধ্যে জেলার অন্তত ৩০টি হাটে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে জনসমাগম। এই হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে, সাধারণ মানুষ একেবারেই সামাজিক দূরত্ব মানছে না। সামাজিক দূরত্ব না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিয়েও তাদের থামাতে পারছে না। তাই আমরা জনসমাগমের বড়স্থল হাটবাজারগুলোতে যাতে দূরত্ব মেনে বাজারঘাট করতে পারে, সেজন্য একেক হাটের বাস্তবতা বুঝে স্থানান্তর করতে শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত জেলার অন্তত ৩০টি বড় হাট স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব হাটে এখন মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এলএ)