করোনা ঝুঁকিতে ফেনী বাজার

করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতে রয়েছে ফেনী বড় বাজার। সাধারণ ছুটি ঘোষণার ২৫ দিন পরও জেলার নিত্যপণ্য বেচাকেনার প্রাণকেন্দ্রে শুধু মানুষ আর মানুষ। জেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে মানুষকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি করলেও কেউ মানছে না।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেনী বাজারে সকাল থেকেই ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না একেবারেই। গা ঘেঁষেই ভোগপণ্য কিনছেন ক্রেতারা। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত তারা। বিকাল পর্যন্ত মানুষের জটলা লেগে থাকে। ক্রেতা বিক্রেতা কেউ ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার করছেন না। খালি হাতেই টাকা লেনদেন, পণ্য আনা-নেয়া চলছে। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদদের নজরদারি থাকলেও এখানে কারো কোনো খবর নেই।

এদিকে শহরের সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট ও মুক্ত বাজারকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে বাজারটি নিয়ন্ত্রণহীন থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাঝেমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশের টহল দল এলে মানুষ সরে যায়।

শহর ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী ঢাকাটাইমসকে জানান, সামাজিক দূরত্ব শতভাগ নিশ্চিত হচ্ছে না। কিন্তু মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন। রমজান আসায় মানুষের ভীড় বেড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে দুটি বাজারকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরানো হয়েছে। বড় বাজার আর মহিপাল বাজার অন্যত্র সরাতে স্থান নির্ধারনের জন্য একটি টিম পরিদর্শনে বের হবে। শিগগির বাজার দুটি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/কেএম)