কতটা অপরিহার্য তাঁরা?

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ২১:৩০

আরিফুর রহমান দোলন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ কি যোগ্যতা, দক্ষতার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? সংবাদকর্মী হিসেবে প্রতিদিন এখন যাদের সঙ্গে কথা হয় অভিন্ন এই প্রশ্ন ছোঁড়েন প্রায় সকলেই। করোনা ভাইরাস সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট যত প্রকট হচ্ছে ততই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নেতৃত্ব কতটা যথার্থ এই প্রশ্নটি সঙ্গত কারণেই তত বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন টেলিভিশনের পর্দায় করোনা ভাইরাস নিয়ে এই ত্রয়ী ভিন্ন ভিন্নভাবে যেসব উপস্থাপনা দিচ্ছেন তা কার্যত দুর্বল। তাদের উপস্থাপনা যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ যেমন নয় তেমনি তাদের চোখেমুখে খুব একটা আত্মবিশ্বাসের ছাপও নেই। কোথায় যেন কিসের ঘাটতি রয়েছে- এমনটাই মনে হয় তদের মুখচ্ছবিতে।
বিস্ময়করভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বক্তব্যে জনসম্মোহনী ক্ষমতা শূন্যের কোঠায়। বরং স্বাস্থ্যখাত ব্যবস্থাপনার নেতৃত্ব দুর্বল, দিক নির্দেশনাহীন এমন মনোভাব খোদ এই খাতের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি সব মহলেরই। মন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকের শরীরি ভাষায় এক ধরনের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। এটি যদি সত্যিকারের মনোভাব হয় তাহলে গোটা জাতির জন্যে তা বড় অশনিসংকেত বটে।
কতটা অপরিহার্য তাঁরা? অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে এই প্রশ্নটি। মন্ত্রী, সচিব আর মহাপরিচালককে পদে রেখে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী আর দেশবাসীর মধ্যেইবা কতখানি আস্থার মনোভাব তৈরি করা সম্ভব? এটিই এখন বড় প্রশ্ন।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে নাকি ভুল, নকল ফেস মাস্ক, পিপিই সরবরাহ হয়েছে- এমন খবর ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যমে। এমনকী বহুল প্রচারিত, প্রতিষ্ঠিত এবং বিশ্বাসযোগ্য দৈনিক পত্রিকায়ও এ নিয়ে বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত, প্রচারিত খবর অনুযায়ী এসব সরবরাহের সঙ্গে মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র, সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সংশ্লেষ কি তা আমার বিচার্য বা আলোচনার বিষয় নয় মোটেও। বরং সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষুধ সরবরাহ দপ্তর (সিএমএসডি) এসব নিয়ে গণমাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ে যে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে ১৮ এপ্রিল, তা নিয়েই আমার উদ্বেগ।
সিএমএসডিতে হ্যান্ড গ্লোভস, সেনিটাইজার, সাধারণ মাস্ক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান জেএমআই সরবরাহ করে না-কি আরো অন্য কেউও আছে সেটিও আমাদের জানা খুব জরুরি নয়। আমাদের জানা জরুরি, যে জীবন বাজি রেখে এই মুহূর্তে যেসব চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা নির্ভুল প্রতিরক্ষা সামগ্রী পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না? সিএমএসডি বিজ্ঞাপন আকারে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই যে মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে সে মোড়কগুলোতে এন ৯৫ মুদ্রিত ছিল। সিএমএসডি নাকি ভুলক্রমে সাধারণ মাস্ক হিসেবেই তা সরবরাহ করে।
সিএমএসডির এই ভুল নিশ্চয়ই অনিচ্ছাকৃত। আর ওই ভুলের ব্যাখ্যাও নাকি পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন আকারে সংবাদপত্রে প্রকাশ, প্রচার হয়েছে।
তবে কখনো কখনো ছোট্ট একটি ভুলও অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। ভুল সাধারণত মার্জনীয়ই হয়। কিন্তু এমন ভুলও আছে যা অমার্জনীয়ও বটে। যেখানে মানুষের বাঁচা মরার প্রশ্ন, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার প্রশ্ন জড়িত সেখানে একটি ভুল যদি স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ মানুষের আস্থা, বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয় তো সেই দায় কার?
ভুল মোড়কের মাস্ক সরবরাহ নিয়ে কিংবা এর গভীরে আরও কিছু আদৌ আছে কি না তা নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যম কিংবা অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রচার বা সংবাদ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু বুঝে অথবা না বুঝে সিএমএসডি এই বিতর্কে ঢুকে পড়েছে এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র, সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসবের সঙ্গে জড়িত নন সেইসব সাফাইও দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটি সংকটময় মুহূর্তে কাজের ফোকাস কিছুটা হলেও পরিবর্তন করে ফেলেছে। কিংবা বাধ্য হয়েছে। এটি হয়েছে একটি ভ্রম বিলাসের কারণে। অথচ এখন তাদের এক এবং একমাত্র কাজই হওয়া উচিত মানসম্মত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস সরবরাহ নিশ্চিত করা নিয়ে কাজ করা।
এসবের কোন ব্যতয় হলে এর দায়-দায়িত্ব মন্ত্রী-সচিবকে নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের জন্য তারা সম্মান, সম্মানী, গাড়ি-বাড়ি আরও কত সুবিধাই না পান। কিন্তু দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা তাদের নেতৃত্বে আদৌ সুরক্ষিত কি? সারা দেশের যে চিত্র গণমাধ্যমে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে তাতে পরিষ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব বদল অতি জরুরি। প্রশ্নটি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার। সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণের আস্থা,বিশ্বাস সৃষ্টি হওয়ার।
পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন পাঁচ বছর। তর্কের খাতিরে ধরে নেই মাথার উপরে পূর্ণ মন্ত্রী থাকায় এই যাত্রায় নিজের ক্যারিশমা, সৃষ্টিশীলতা তেমন দেখাতে পারেননি। কিন্তু নিশ্চয়ই মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর পরিদপ্তরের নাড়ি নক্ষত্র তার জানা থাকার কথা। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রণালয়, কাজ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন বলে মনে হচ্ছে না। সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি পিপিইকে যেভাবে বারবার পিপিপি বা ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ঢাকা কলেজ বলে ভুল উচ্চারণ করছিলেন তাতে একটি বিষয় অন্তত পরিষ্কার সাধারণ বিষয়গুলোতেও তিনি খুব বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে বছরের পর বছর যে অভিযোগ তার কোন সুরাহার ইঙ্গিতও কি দায়িত্ব পালনের এই সময়টিতে মন্ত্রী জাহিদ মালেক দিতে পেরেছেন? তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ১১ উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ২৫টি উপায়ের সুপারিশও দিয়েছিল দুদক। দুঃখের বিষয় সেসব সুপারিশের একটিও কার্যকরের উদ্যোগ নেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বরং আগের দুই মন্ত্রী ডা. রুহুল হক ও মোহাম্মদ নাসিমের আমলের মতো পাল্লা দিয়ে অনিয়মের ওপর ভর করেই চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়, বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকায় কেনাকাটাসহ গত পনের মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটার অনিয়মের খবর গণমাধ্যমকে বারবারই এসেছে অতীতের ধারাবাহিকতায়। এসবের কোন কিছুর দায় কি বর্তমান মন্ত্রী এড়াতে পারেন?
ডা. রুহুল হক, মোহাম্মদ নাসিমের দুর্নাম ঘুচিয়ে নবযাত্রার সূচনাই যদি করতে না পারেন তাহলে দেশের অন্যতম বড় জনগুরুত্বপূর্ণ সম্পন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে জাহিদ মালেক কেন?
মন্ত্রী নিজে যেমন কাজ করবেন তেমনি তার অধীনস্ত সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও কাজে লাগাবেন- এটিই নেতৃত্বের দক্ষতা। কিন্তু মন্ত্রী-সচিব- মহাপরিচালক কেমন যেন খাপছাড়া। সমন্বয়হীনতা প্রকট তাদের মধ্যে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন বর্তমান সচিব আসাদুল ইসলাম। স্বভাবতই মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সবকিছু তার হাতের তালুর মতো চেনার কথা। কিন্তু সংকটময় মুহূর্তে সচিবকে মনে হচ্ছে নির্জীব। তিনি কতটা সক্রিয় তার চেয়েও বড় প্রশ্ন কাজে কতটা আন্তরিক আর দক্ষ। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর অন্যতম কেন্দ্রস্থল নারায়ণগঞ্জে একটি পরীক্ষাগার,বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করতে না পারার ব্যর্থতা মন্ত্রীর পাশাপাশি সচিবেরও। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি কতখানি উদ্যোগী, উৎসাহী, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা পারদর্শী সেই প্রশ্নই এখন সামনে চলে আসছে।
করোনা সংকটকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এখন যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সামগ্রী কেনাকাটার ধুম লেগেছে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে নতুন নতুন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি চড়া মূল্যে কেনা হচ্ছে তা আসলে আগে থেকেই আছে। কিন্তু অনুপস্থিতি দেখানো হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে যে যন্ত্রের প্রকৃত মূল্য ৫০ লাখ টাকা তার মূল্য নাকি ধরা হয়েছে ৩ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কেনাকাটা বিলাস কে রোধ করবে? দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা সচিব হয়ে যদি এসবের লাগাম টেনে ধরতে না পারেন তাহলে আমরা কী বুঝবো? সর্ষের ভেতরেই ভূত।
দেশের মানুষের সংকটকে পুঁজি করে আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কালো বিড়াল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কি-না সেই আশঙ্কাও আছে। কেরানী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক আফজাল-রুবিনাদের তৈরি করেছে কে, কারা? তারা কিন্তু মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বহাল দাপটে আছেন।
এই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মূল কেন্দ্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোন যাদুমন্ত্র বলে ওই পদে তা তিনি আর সংশ্লিষ্টরাই জানেন। গত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভাগীয় সদরের হাসপাতালগুলো আর পুরনো জেলাগুলোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কার্যত স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবার উপযোগী করতে না পারার ব্যর্থতা কি তাঁর নয়? দেশের অন্যতম পুরনো জেলা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১টি ভেন্টিলেটর অকার্যকর। মুন্সিগঞ্জে জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ২টি খারাপ। এইভাবে তৃণমূল স্তরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শুধু নেই আর নেই এর ছড়াছড়ি। কোথাও এক্সরে মেশিন আছে অপারেটর নেই। কোথাও আবার অপারেটর আছে কিন্তু যন্ত্র খারাপ। আর সবই কিন্তু রুটিনওয়ার্ক নিত্যকার সমস্যা। সেই সমস্যাগুলো সমাধানে যিনি বা যারা হিমশিম খান তাদের নেতৃত্বে করোনা ভাইরাসজনিত জরুরি সমস্যা সমাধান আদৌ সম্ভব? সরকার ঘনিষ্ঠ অধিকাংশ মহলসহ জনমনে একটাই ধারণা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এখনকার জরুরি সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন দক্ষ, যোগ্য, কর্তব্যনিষ্ঠ, সাহসী পদক্ষেপ নিতে সিদ্ধহস্ত নেতৃত্ব।
প্রতিবছর শুধুমাত্র কেনাকাটায়ই ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই বিপুল বিনিয়োগের সঠিক ব্যবহার হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অতি উপযুক্ত থাকার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অত্যন্ত জরাজীর্ণ। একই রকমভাবে দুর্বল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যারা তাদের অনেকেও। মন্ত্রী, সচিব, গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী পরিবর্তন করে সব মহলে এই বার্তা দেওয়া হোক এই স্বাস্থ্য খাত ব্যবস্থাপনা, পরিচালনায় কোন আপস হবে না।
সেই অপেক্ষাতেই রইলাম আমরা। ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বার্থে নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন। সংকট কাটিয়ে জেগে উঠুক দেশের স্বাস্থ্যখাত।
লেখক: সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং সাপ্তাহিক এই সময়।