করোনাযুদ্ধে ইউএনও ঝোটন চন্দ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২০, ২১:২০

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ। সরকারের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য তার কার্যক্রম সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দের নেতৃত্বে ১০ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য, সচিব, উপজেলার কর্মকর্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে একটি করে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলার সব জায়গায় মাইকিং, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ইমামদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নিয়মগুলোর আলোচনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সচেতনতার লক্ষ্যে উপজেলার প্রত্যেক বাজারে লিফলেট, ফেস্টুন ও ব্যানার দেয়া হয়েছে। পুলিশ সঙ্গে নিয়ে জনসমাগম এড়ানো ও দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনমজুর, গরিব ও দুস্থদের মধ্য চাল, ডাল, আলু ও সাবান পৌঁছে দিচ্ছেন।

তিনি উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং জনসমাগম এড়ানোর জন্য যে জায়গা থেকে যখনই ফোন আসছে, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কখনও তিনি নিজে জায়গায় উপস্থিত হচ্ছেন, তা নাহলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত মাইকিং করে জনগণকে সব ধরনের গণজমায়েত, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ এবং যত্রতত্র বাজার, মোড় বা দোকানে অযথা আড্ডা বা বসে থাকা এবং যেকোন ধরনের খেলাধুলা না করার নির্দেশনা জারি করেছেন। ২৫০ এর বেশি প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছেন। ৩৩৩-এর মাধ্যমে আবেদনকারীর নিকট দ্রুত খাদ্য সামগ্রী পৌছাচ্ছেন। ৫০ জনের স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত ম্যাসেজের মাধ্যমে আবেদনকারীর নিকট খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

চায়ের স্টলসহ যেকোন ধরনের দোকানে টিভি ও বসার বেঞ্চ সরিয়ে রাখা এবং দোকানের সামনে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ রাখতে হবে এমন নির্দেশনাও দিয়েছেন। এসব নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।

এলাকাবাসী জানান, ঝোটন চন্দ একজন কাজপাগল মানুষ। সরকারের নির্দেশনা মেনে সাধারণ মানুষের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। তিনি নিজে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন, আবার কে কোথায়, কিভাবে কাজ করছে তার সার্বিক তদারকি করছেন। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের জারি করা গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি সরব ও সক্রিয় রয়েছেন। ইউএনওর এমন ভূমিকা এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে।

ঝোটন চন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারি দায়িত্বের অংশ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমি কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য আমি উপজেলার সব নাগরিকের সার্বিক সহযোগিতা চাই।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :