সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ফরিদপুরে ফাঁকাস্থানে হাটবাজার

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২০, ১৬:১২

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে নিতান্ত প্রয়োজনে আসা ক্রেতাসাধারণ যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে সেজন্য জেলার হাটবাজারগুলো দূরবর্তী ফাঁকা স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। জেলা পুলিশের নির্দেশনায় রবিবার থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে।

সোমবার থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন হাটবাজার স্থানান্তরিত বিভিন্ন স্থানে বসতে দেখা গেছে। তবে জেলা শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলায় এখনো কিছু স্থানে বাজার বসছে। নতুন জায়গায় টিউবঅয়েল ও শৌচাগার না থাকায় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পরেছেন।

শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে মহিম ইন্সটিটিউশনের মাঠে। আর চকবাজার ও তিতুমীর বাজারের কাঁচা বাজারকে স্থানান্তর করা হয়েছে রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে। টেপাখোলা কাঁচা বাজারকে সরিয়ে অদূরেই পশু হাটের পূর্ব পাশে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, হাটবাজারে ক্রেতারা নিতান্ত দায় পড়েই আসেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য কিনতে। কিন্তু বিভিন্ন হাটবাজারে আসা ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না বলে খবর পাচ্ছিলাম। এ প্রেক্ষিতে এসব বাজারকে স্বল্প পরিসরের স্থান থেকে বড় ফাঁকা পরিসরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরের পৌর কাউন্সিলর নাফিজুল ইসলাম তাপস বলেন, বিভিন্ন হাটবাজার স্বল্প পরিসরে ছিল। এসব স্থানে আসা ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছিলেন না। এখন এসব হাটবাজার প্রশস্ত স্থানে নেয়ায় জনগণ ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে শহরের হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, এই বাজারের কাঁচা অংশ মহিম স্কুলের মাঠে নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য দোকানপাট বাজারেই থাকছে। আমরা ক্রেতাদের সুবিধার্থে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে আলিমুজ্জামান বেইলী ব্রিজের মাঝে বাঁশ দিয়ে বাজারে যাতায়াতের জন্য ওয়ান ওয়ে রোড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকজন একদিক দিয়ে বের হবে আর অন্য দিক দিয়ে ঢুকবে।

এদিকে স্থানান্তরিত কাঁচা বাজারের টোল আদায় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের ইজারাদারের পক্ষে খাজনা আদায় করার সময় রবিবার কয়েকজনকে আটকও করা হয়। পরে ব্যবসায়ী নেতাদের তদবিরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ব্যবসায়ী নেতারা জানান, কাঁচা বাজার স্থানান্তরিত হওয়ার আগে যেই ইজারাদার ডাক নিয়েছিলেন তিনিই খাজনা আদায় করবেন। এ নিয়ে প্রথমে একটু সমস্যা হয়। আমরা পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুরাহা করেছি।

ফরিদপুরের পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এসব হাটবাজার স্থানান্তরিত হয়েছে। স্বল্প সময়ে এসব স্থানান্তরিত কাঁচা বাজারে পানি ও বাথরুম-টয়লেটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে হয়তো সেসব গড়তে হবে। আর কাঁচা বাজার ইতোপূর্বে যারা ইজারা নিয়েছে তারাই খাজনা তুলবে। কারণ তারাতো সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে ডাক নিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :