প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিলেন নেতারা
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ জমিতে পেকেছে বোরো ধান। তবে করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিকের অভাবে ক্ষেতের পাকা বোরো ধান কাটতে পারছিলেন না কৃষকরা। প্রতিবছর ধান ঘরে তোলার সময় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দিনমজুর কাজের সন্ধানে গাজীপুরে আসেন। কিন্তু এবার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুর লকডাউন ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ধান কাটার শ্রমিক আসতে পারেনি। এতে বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেলের নির্দেশে গাজীপুর সদর থানা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৫০ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সারাদিন কাজ করে কৃষকের পাকা ধান ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পেইজে ধান কাটার বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর পূবাইলের ইছালীতে কৃষক সফর উদ্দিন, কৃষক লালু মিয়া ও বর্গাচাষী মুজিবুর রহমানের চাষের ধান পেকে গেছে। করোনার কারণে শ্রমিক না পেয়ে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলো না। খবর পেয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৫০ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সারাদিন কাজ করে কৃষকের ফসল ঘরে পৌছে দিয়েছেন। আমার অনুরোধে আগামীকালও তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আমাকে জানিয়েছে।
একজন কৃষক বলেন, ‘ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। গত কয়েকদিনে কালবৈশাখী ঝড়ে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মন্ত্রী রাসেল সাহেবের নির্দেশে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে দেয়ায় অনেক উপকার হয়েছে আমার।’
গাজীপুর সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন মিঞা ঢাকাটাইমসকে বলেন, শ্রমিকের অভাবে যারা পাকা ধান কাটতে পারছে না তাদের ধান আমরা কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা কেটে দিচ্ছি। এছাড়াও ধান মাড়াই করার জন্য নিজ খরচে ২০ জন পেশাদার শ্রমিক দিয়ে ধান মাড়াই করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, রবিবার পুবাইলের ইছালীর তিনজন এবং সোমবার কানাইয়া গ্রামের পাঁচজন কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছি। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সদর থানা কৃষকলীগ ১০০বিঘা জমির পাকা ধান কাটা ও মাড়াই করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/কেএম)