ঘাটাইল আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনাধুনিকতার ছাপ

রেজাউল করিম খান রাজু, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
| আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২০, ২১:৪৭ | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২০, ২১:৪৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অনাধুনিকতা ছাপ। হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় তিন বছর ধরে বিকল। পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে। নেই ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও কালার ডপলার ইকোমেশিন। এসব কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় উপকরণের ঘাটতি নিয়েই চলছে ঘাটাইল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এখানে ২০ জন চিকিৎসক থাকলেও বর্তমানে ১৫ জন কর্মরত। তিনজন আছেন ডেপোটেশনে এবং দুজন দীর্ঘদিন ধরে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এতে চিকিৎসকদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্বল্প পরিসরে সিজারিয়ান ও জরুরি অপারেশনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ঠিকমত সেবা দেয়া যাচ্ছে না। জরুরি রোগী এলেই সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এতে রোগীদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তাছাড়া উপজেলায় ছয়টি সাব-সেন্টার ও ৫১টি ক্লিনিক থাকলেও মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার মানুষ। প্রতিটি সাব-সেন্টারে একজন করে মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেটি নেই।

ভুক্তভোগী একজন রোগীর স্বজন আব্দুল লতিফ জানান, আগে সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ গিয়েছি এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে। এখন বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ভাড়া দিতে হয় তিন হাজার টাকা। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকায় বাইরের অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে।

হাসপাতালটির অ্যাম্বুলেন্সচালক মজিবর রহমান জানান, সরকারিভাবে বরাদ্দ অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ এলাকায় পৌঁছালে ওভারটেক করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। সেই থেকে সেটি খোলা আকাশের নিচে বিকল হয়ে পড়ে আছে। পরে ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের মাধ্যমে বাসাইল উপজেলা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ধার করে আনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেটিও ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বিকল হয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। তাদের বাইরে থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হচ্ছে। গত বছর অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা দেওয়া হলেও এখনো আমরা পাইনি। তবে শিগগির কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে একটা ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি। প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী না থাকায় গরিব, অসহায় ও খেঁটেখাওয়া মানুষগুলো আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :