পাঁচ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কুমিল্লার চার গ্রাম

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:৫৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঝড়ের স্থায়িত্ব মাত্র পাঁচ-সাত মিনিট। তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। কয়েক মিনিটের ঝড়ে সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর এবং বুড়িচং-এর ডুবইচর, চানগাছা ও কালাকচুয়া গ্রামে উপড়ে পড়ল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টিনসেট ঘরের চাল এবং ভেঙে পড়ল কাঁচা ও আধাপাকা ঘর-বাড়ি। নষ্ট হয়েছে মাঠে থাকা ধানসহ কৃষকের বিভিন্ন ফসল।

বুধবার বিকাল পৌনে ৫টায় ঘুর্ণিঝড়ের এই তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয় চার গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন কালিরবাজারের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন জানান, বিকালে বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এলো। শিলাবৃষ্টি শুরু হলো। আকাশ তিন-চারটি বিকট শব্দ করে, সেই সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঝড়। মুহূর্তে বাড়ির পাশের কয়েকটি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ল। সেই সঙ্গে আমার মুরগির ফার্মের চাল ঝড়ের সাথে ভেঙে পড়ল। চারদিকে শুরু হলো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আর চিৎকার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, সৈয়দপুরে আমার একটি দোকান আছে। আসরের নামাজের পর দোকানটি খুললাম। দেখলাম, আকাশ অন্ধকার হয়ে আসছে। শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। আমি দোকানের সাটার নামাতে গেলাম। দুই-তিনটি শব্দ করে হঠাৎ খুব জোরে শোঁ-শোঁ আওয়াজ শুরু হলো। সাটার নামানোর সময় পেলাম না। তার মধ্যেই চারদিকে ঘর,বাড়ি,গাছ-পালা ভাঙা শুরু হলো। ঘরের চাল ঘুর্ণিঝড়ের সাথে গাছের আগায় ঘুরছে। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ছে। দোকানের পাশের একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটির উপরের অংশ উপড়ে পড়েছে ঝড়ের তীব্রতায়।

তিনি আরও জানান, ঝড়ে পাঠের পাকা ধান ও বিভিন্ন ফসল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সৈয়দপুরসহ চার ও পাঁচ গ্রামের কৃষকরা।

কালীরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর আলী জানান, আমার একটি ঘরের চাল উপড়ে পড়েছে। আমার ইউনিয়নের সৈয়দপুরের অনেক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই সাথে পাশের উপজেলা বুড়িচংয়ের কয়েকটি গ্রামেও ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে। তারাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এলএ)