কাপাসিয়ায় এক কারখানার ১৩ শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২০, ১৩:৫৩ | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২০, ১৩:২৯

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ’ছোঁয়া এগ্রো প্রডাক্টস লিমিটেড’ নামে এক কারখানার ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ওই কারখানা থেকেই উপজেলায় প্রথম করোনা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন দফায় পরীক্ষার মাধ্যমে ওই কারখানার ১৩ জন শ্রমিকের শরীরে প্রাণঘাতী করোনা পাওয়া যায়।

পরে কারখানাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু ওই কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ এপ্রিল চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন এক ব্যক্তি। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠায় চিকিৎসকরা । দুই দিন পর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে ওই ব্যক্তির। পরে জানা যায়, সে কাপাসিয়া সদরের দস্যু নারায়ণপুর এলাকার ছোঁয়া এগ্রো প্রডাক্টস লিমিটেডের সেলস সুপারভাইজার।

খবর পেয়ে সাথে সাথে কারখানাটি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। দেড়শ শ্রমিকের মধ্যে ডরমিটরিতে থাকা ১শ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তাঁদেরও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে দুই দফায় ওই কারখানার আরো ১২ জন শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। বাকি ৫০ জন শ্রমিক কাপাসিয়াসহ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

ছোঁয়ার সেলস সুপারভাইজারকে চিকিৎসা দেওয়ায় ১৭ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম সরকার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারসহ মোট ৩২ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়। এদিকে লতিফপুর এলাকার চার বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। ওই চারজনই ছিল ছোঁয়া এগ্রোর শ্রমিক। ওই এলাকায় তাবলিক জামাতে এসে আক্রান্ত হয় গাজীপুরের দুই ছেলে। এমনকি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয় এক সাংবাদিক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কাপাসিয়ায়। এমনকি তিনি নিজেও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭০ জনে। কয়েক জন ছাড়া বাকি সবাই ছোঁয়া এগ্রোর সংস্পর্শে গিয়েছিল। ওই ফিড মিল থেকে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে বলে তিনি ধারণা করেন।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, মেশিন স্থাপনের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞদল ছোঁয়া এগ্রোতে আসে। তাদের মাধ্যমে কারখানায় করোনা ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছে।

ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :