মধ্যবিত্তের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ‘কুইক রেসপন্স টিম’

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২০, ১৬:১৩

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ইউএনও আবদুল মালেক আট সদস্যের ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করে কর্মহীন মধ্যবিত্তের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। ০১৩০০-৭৪৮২৮৭ হট লাইনে কল করে নাম পরিচয় লেখালে টিমের সদস্যরা মোটরবাইকে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দ্রুত সময়ে তা পৌঁছে দিচ্ছেন। গত ১১ এপ্রিল চালু করা হটলাইনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে শতাধিক পরিবারে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আর এভাবে কল করে খাদ্যসহায়তা পেয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলোও খুবই খুশি।

ইউএনও আবদুল মালেক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে এরই মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও খাদ্যাভাবে পড়েছেন। তারা না পারছেন লাইনে দাঁড়াতে না পারছেন তালিকায় নাম লেখাতে। মূলত সেসব পরিবারের কথা চিন্তা করে হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইনে কল করে কন্টোল রুমে নাম পরিচয় লেখালে কুইক রিসপন্স টিমের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিতরণ ব্যবস্থায় ভুলের কারণে সহায়তা পাওয়ার উপযোগী কেউ বাদ পড়লে তাদেরও খুঁজে এই টিমের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়ে থাকে।

চালু করা হটলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে হটলাইনে এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কল আসলেও যাচাই বাছাই করে শুধুমাত্র প্রকৃত মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেই খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ইউএনও।

আবদুল মালেক বলেন, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনগণের মধ্যে হতদরিদ্র অতিদরিদ্র ও নিন্মমধ্যবিত্ত এই তিন ক্যাটাগরি চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সরকারের খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের প্রতিনিয়ত খাদ্যসহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে এই দুঃসময়ে কর্মহীন একটি পরিবার এক বেলার জন্যও অভুক্ত না থাকে। আর এ কাজে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিক তাকে দিকনির্দেশনা দেন।

হটলাইনে কল করে খাদ্য সহায়তা পাওয়া সদরের বাইমহাটি প্রফেসর পাড়ার বাসিন্দা মির্জাপুর বাজারের এক চশমা দোকানি জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সত্যিই খারাপ অবস্থায় পড়েন। তবে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ইউএনওর হটলাইনে কল করার পর তার বাসায় খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়। এতে তিনি খুবই খুশি এবং ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞ।

একই কথা জানান মির্জাপুর বাজারের রেন্ট-এ কারের ব্যবসায়ী ও ওয়ালটন শো রুমের মালিক। তিনি জানান, তার ব্যবসা ও ইলেকট্রনিকস শোরুম বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করছেন। হটলাইনে কল করার পরেই ইউএনর কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা এসে বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি হতবাক হয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, সকাল ৯ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হটলাইন খোলা থাকে। তাদের দেয়া খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবন ও এক লিটার তেল।

কুইক রেসপন্স টিমের সদস্য সজিব মিয়া ও সাজ্জাত হোসেন জানান, কন্টোল রুমের তালিকা হাতে পাওয়ার পর সকাল ১০টা থেকে বিকালে ৬টা পর্যন্ত তারা বাইকে খাদ্যসামগ্রী চড়িয়ে দ্রুত বাড়ি পৌঁছে দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :