প্রেম করার অপরাধে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রেম করার অপরাধে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রেমিকার পরিবারের তিনজনকে আটক করেছে। উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয় বলে জানা গেছে।
নিহত কলেজ ছাত্রের নাম তুষার জনি (২০)। তিনি পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র কলারোয়া পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে তুষার ওরফে জনির সাথে একই গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে বুধবার গভীর রাতে মেয়েটি তার প্রেমিক জনির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এ সময় মেয়ের বাবা পাশের ঘর থেকে বিষয়টি বুঝতে পারে। একপর্যায়ে গভীর রাতে বাবা কামরুজ্জামান ও চাচা ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে মেয়েটিকে দিয়ে জনিকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে বেদম মারপিট করে। গণপিটুনির একপর্যায়ে জনি জ্ঞান হারালে তারা তাকে মৃত ভেবে বাইরে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় কামরুজ্জামানের পিতা রিয়াজ উদ্দিন, স্ত্রী আসমা খাতুন, কামরুজ্জামানের ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। কামরুজ্জামান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে জনির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এলএ)