শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণ’: কাফন পরে বিচার বিচার দাবি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১৮

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ থানায় মামলা না নেয়ায় ধর্ষকের শাস্তির দাবি ও নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ধর্ষিতা ও তার পরিবার। শুক্রবার বেলা ১০ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঠেরঘাট এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। অবস্থান কর্মসূচিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনে আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার দক্ষিণ কেরাব এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া নামে এক যুবক অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন।

ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করে জানান, ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের নিয়ে মামলা নেননি। ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী ২/৩ দিন পরই ধর্ষিতার শরীর থেকে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। আর এদিকে ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতেই মামলা নেওয়া নিয়ে পুলিশ টালবাহানা করছে বলে ধর্ষিতার পরিবারের দাবি। বর্তমানে ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসী দিয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ধর্ষিতা ও তার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ধর্ষিতার করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। দেড় বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ কেরাব এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের গড়ে তোলে। গত ১ বছর ধরে ইব্রাহিম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে ওই শিক্ষার্থী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরে ১৯ এপ্রিল রাতে ইব্রাহিম মিয়া শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। ওইদিন রাতে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন ও মা লিপি বেগমকে বিষয়টি জানালে তারা ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যেতে বলেন।

এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :