পাবনা এলজিইডির সেই নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি

পাবনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০২০, ২৩:৪২

পাবনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়াকে অবশেষে এলজিইডির সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। এলজিইডির এক অফিস আদেশে প্রধান প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসকালে ত্রাণের নামে ঠিকাদারদের নিকট চাঁদাবাজি, কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ঠিকাদারদের কোটি কোটি টাকার বিল প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

অতি সম্প্রতি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া নিজের অনুসারী একটি প্রভাবশালী ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ ঠিকাদারদের জোরপূর্বক ত্রাণ সহায়তার কথা বলে কথিত ত্রাণ তহবিলে অর্থ প্রদানে বাধ্য করেছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে।

পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

যদিও ওই কথিত ত্রাণ তহবিল গঠনে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে, ঠিকাদাররা নিজ উদ্যোগেই কাজটি করার দাবি করেন ওই সময়ে নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার আগের নিজের মনমতো ও পছন্দমত ঠিকাদারদের বিল প্রদান করা। আবার তার অনুসারী নয় এমন ঠিকাদারদের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করা হলেও বিল প্রদান না করে নানা তালবাহানা করা। পছন্দের ঠিকাদার না হলে কি করে কাজটি বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা যায়, এমন কাজ করা ছিল কেএম বাদশা মিয়ার নিকট মামুলি ব্যাপার।

এলজিইডির একটি সূত্র জানান, পাবনায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে একেএম বাদশা মিয়া যোগদানের পর থেকেই ঠিকাদারদের দমনপীড়ন শুরু করেন। রাতারাতি কিছু ঠিকাদার তার খাস চামচা বনে যান। বিষয়টি এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ও অবহিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি তদন্ত শেষে প্রধান কাযালয়ও এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তার বদলির বিষয়টি বুঝতে পেরে গত এক সপ্তাহে কাজ সমাপ্ত হয়নি এমন অন্তত ১৫টি কাজের কয়েক কোটি টাকার বিল প্রদান করেছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

যা সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে বিশেষ সুবিধা নিয়েই এই কাজগুলো করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন একাধিক ঠিকাদার। গত সপ্তাহে জিপিবিআরআইডিপি প্রকল্পের জেলার বেড়া উপজেলার কাজী শরিফপুর থেকে শ্যামপুর ক্যানেল সড়ক ভায়া বুলুন্দুর জিপিএস সড়ক উন্নয়ন কাজের বিল বাবদ ৪৮ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন।

যার নথি অনেকের নিকটই রয়েছে বলেও জানান তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :