ফেনীতে ডাকাতিকালে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

ফেনীতে সোনাগাজীতে এক চা দোকানির ঘরে ডাকাতি করতে গিয়ে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছেন একই এলাকার জোবায়ের ইসলাম সোহাগ। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

মামলার তদন্তকারি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ৩টার দিকে ফাজিলের ঘাট সংলগ্ন উত্তর চরমজলিশপুর এলাকা থেকে জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবারর দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে তাকে হাজির করা হলে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অপরাপর জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন তিনি।

আদালতে সোহাগ জানিয়েছেন, ছয়জন সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। ডাকাতিকালে তারা পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছে। পরে একটি কক্ষে নিয়ে মাদরাসা পড়ুয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তিনি ইতিপূর্বে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুরে ডাকাতিকালে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ায় মডেল থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন আহমেদকে শনিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। নবাগত ওসি হিসেবে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাটের পাশে বিষ্ণুপুর এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ভাড়া বাসায় হানা দেয় আট-নয়জন মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত। ডাকাতরা বাড়ির দরজার ছিটকিনি ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় ঘরে সামান্য টাকা ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে ডাকাতদলের এক সদস্য ওই ব্যবসায়ীর মেয়েকে ঘরের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/কেএম)