মৃত্যুর আগে যে ২০ জায়গায় যাওয়া উচিত (২য় পর্ব)

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২০, ১০:৫৩ | আপডেট: ০১ মে ২০২০, ১০:৩২

আবুল কাশেম

মানুষ সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই প্রকৃতির কাছাকাছি বাস করে আসছে। একারণে প্রকৃতির প্রতি তাদের একটা বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা আবিষ্কার করে চলেছে। সেই চেষ্টার ফলে বিশ্বের অনেক দুর্দান্ত জায়গা আবিষ্কার করেছে। তার মধ্যে কিছু সৃষ্টিকর্তার তৈরি এবং কিছু মানুষ তৈরি করেছে। মৃত্যুর আগে প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা থাকে এমন ২০টি সুন্দর জায়গা সম্পর্কে চলুন জেনে আসি। আজ থাকছে চার পর্বের দ্বিতীয় পর্ব।

৬. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বের মনোরম জায়গা দেখতে হলে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আপনার ভ্রমণ করতে হব। এটি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সর্বাধিক জনবহুল শহর। এর হারবার ব্রিজটি বিশ্বের সর্বাধিক বিখ্যাত পর্যটকের স্থান। নতুন বছর উদযাপনে এই সেতুতে বিশাল আতশবাজি প্রদর্শনী হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়।

৭. বার্সেলোনা, স্পেন

প্রতি বছর বহু লোকের দ্বারা পরিদর্শন করা আরেকটি সুন্দর জায়গা হলো স্পেনের বার্সেলোনা শহর। শহরটি আধুনিক পাশাপাশি প্রাচীন রোমান সভ্যতার একটি ভাল মিশ্রণ। এটি অলিম্পিক খেলার জন্যও বিখ্যাত। এই শহর স্পেনের শিল্প ও বাণিজ্যের প্রধানতম কেন্দ্র। এছাড়া এটি স্পেনের সংস্কৃতি ও শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

৮. ইস্তাম্বুল, তুরস্ক

জীবদ্দশায় ঘুরে দেখার আর একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় জায়গা হলো তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুল। এই শহরটি এশিয়া এবং ইউরোপের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি এশীয় এবং ইউরোপীয় সভ্যতার খুব ভাল মিশ্রণ। এটি কনস্টান্টিনোপলের পুরাতন শহর। এটি তুরস্কের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও  ঐতিহাসিক কেন্দ্র। এটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলির জন্যও বিখ্যাত।

৯. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম একটি ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। আফ্রিকা মহাদেশের দুটি দেশ জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমানায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত পৃথিবীর দীর্ঘতম জলপ্রপাত। জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানাবর্তী যৌথ নদী জাম্বেজি থেকেই এই জলপ্রপাতের উৎপত্তি। উচ্চতা ১০৮ মিটার এবং চওড়ায় ১,৭০৩ মিটার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯৩৫ ঘনমিটার জল পতিত হয় এই জলপ্রপাত থেকে। জল পড়ার সময় প্রচণ্ড আওয়াজ সৃষ্টি করে বলে স্থানীয় ভাষায় এর নাম ‘মোজি-ওয়া-তুনিয়া’। এর অর্থ ‘বজ্রের ধোয়া’।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত থেকে জল পড়ার সময় জলীয়বাষ্পের মেঘ তৈরি হয় যা প্রায় ৪০০ মিটার উচ্চতায় ভাসতে থাকে এবং প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যায়। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রাকৃতিক নিদর্শনের অন্যতম আকর্ষণীয় দৃশ্য এখানকার জলীয়বাষ্পে আলো পড়ে রংধনুর সৃষ্টি হওয়া। শুধু দিনেই নয়, পূর্ণিমার রাতেও এই রংধনু দেখা যায়। ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন ১৮৫৫ সালে এই জলপ্রপাত দেখে এর নামকরণ করেন রাণী ভিক্টোরিয়ার নামে। সেই থেকে এটি ভিক্টোরিয়া ফলস নামে পরিচিত হলেও বর্তমানে জিম্বাবুয়ে সরকার এর নামকরণ করেছে ‘মোজি-ওয়া-তুনিয়া’ ফলস।

১০. চীনের মহাপ্রাচীর

ধারণা করা হয়, চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এটি পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি। বলা হয় থাকে, চীনের মহাপ্রাচীর পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা যা চাঁদ থেকেও দেখা যায়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬২৭৬ কিলোমিটার। এটি শুরু হয়েছে সাংহাই পাস এবং শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে। এই প্রাচীরের শাখা দেয়ালগুলো এক করলে দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ৫৫০০ মাইল। চীনের মহাপ্রাচীরের চাইনিজ নাম চাংছ্যাং, যার অর্থ লম্বা দেয়াল।

এই প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ঢাকা টাইমস/২৯এপ্রিল/একে