ঢাকা থেকে ভাইরাসসহ পলাতক কিশোর বাগেরহাটে
ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পালিয়ে আসা ১৩ বছর বয়সী কিশোর ও তার পরিবারের সন্ধান পেয়েছে বাগেরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলার সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তাদের সন্ধান পাওয়অ যায়।
ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিশোরসহ ওই বাড়ির ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ওই কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তার সংস্পর্শে আসা ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত ১৯ জন চিকিৎসক ও ৩৩ জন নার্সকে কর্তৃপক্ষ কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৩ এপ্রিল বাগেরহাট থেকে এক ব্যক্তি হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে তার কিশোর ছেলেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছয়দিন পর ১৯ এপ্রিল ওই কিশোরের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়।
আইইডিসিআরে রিপোর্ট আসার আগেই গত ২৬ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ওই কিশোরকে নিয়ে তার পরিবার পালিয়ে বাগেরহাটে চলে আসেন। মঙ্গলবার আইইডিসিআরের পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনা পজেটিভের কথা ফোন করে ওই কিশোরের বাবাকে জানালে তারা কোথায় আছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পেয়ে সেখানে যাই এবং করোনা আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। কিশোর সুস্থ স্বাভাবিক আছে। তার চিকিৎসা বাড়ি রেখেই দেয়া হবে। তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই কিশোরসহ পরিবারের নারী পুরুষ মিলিয়ে ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। আশেপাশে আর কোনো বাড়ি না থাকায় ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/কেএম)