গাজী গ্রুপের অর্থায়নে করোনা শনাক্তে রূপগঞ্জে বেসরকারি পরীক্ষাগার

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২০, ২১:৫০

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজী গ্রুপের অর্থায়নে দেশের একমাত্র বেসরকারি করোনা শনাক্তের পরীক্ষাগার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ ল্যাব উদ্বোধন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসাবে অংশগ্রহন করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।

পরীক্ষাগারটি উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বেস্টওয়ে সিটির নির্মাণাধীন একটি ভবনে স্থাপিত করা হয়েছে।

কনফারেন্সে থেকেই বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা ও গবেষণা পরিচালক ইকবাল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর আব্দুল আলীম, ইউএস বাংলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাছুম, বেস্টওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাঈদ আল মামুন, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা প্রমুখ।

ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গাজী গ্রুপের অর্থায়নে রূপগঞ্জে পিসিআর ল্যাব চালু করায় পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চনের বেস্টওয়ে সিটিতে স্থাপিত এই ল্যাবটিতে নমুনা পরীক্ষার কাজে থাকবেন দুজন ভাইরোলজিস্ট ও চারজন চিকিৎসক। নমুনা সংগ্রহের কাজে থাকবেন পাঁচজন টেকনোলজিস্ট। যারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন। নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ল্যাবে থাকছে দুইটি হটলাইন নম্বর। নম্বরগুলো হলো- ০১৭৭-৭৭৭৪২২০ ও ০১৭৭-৭৭৭৪২২২।  এই হটলাইন নম্বরে ফোন করলে নমুনা সংগ্রহের জন্য যাবেন টেকনোলজিস্টের দল। এই পুরো নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আর আইইডিসিআর সাথে পূর্ণ সমন্বয় রেখে করা হবে।  সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এত দিন নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাত। তারপর ঢাকার ল্যাবগুলোতে পরীক্ষার পর সেই রিপোর্ট আবার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে ফেরত পাঠানো হতো। এই টেস্ট ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখন নারায়ণগঞ্জের নমুনা সংগ্রহ করে এই টেস্ট ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে। ফলে দিনের রোগী দিনেই শনাক্ত হবে। আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিশীল হবে এবং চরম অসুস্থ রোগীদের ও কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে উন্নত চিকিৎসা পাবার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে। এই পুরো টেস্ট জনসাধারণের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এলএ)