ত্রাণ চুরি প্রতিরোধে ঈশ্বরদীতে ‘সেন্ট্রাল সার্ভার সিস্টেম’

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৭

আপদকালে সরকারের মানবিক সহায়তার ত্রাণ চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধে এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাবনার ঈশ্বরদীতে ডিজিটাল ‘সেন্ট্রাল সার্ভার সিস্টেম’ উদ্ভাবন করা হয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। ত্রাণসহ অন্যান্য সহযোগিতার চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং বিশেষ ওএসএস, ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফসহ খাদ্যবান্ধব ও অন্যান্য সব সরকারি কর্মসূচি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে।

বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার ইসলামিয়া মাদ্রাসা, সাউথ প্রাইমারি স্কুল ও আলহাজ্ব মোড়ে ‘ওএসএস’ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান। পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম, ঈশ্বরদী খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শিহাব রায়হান জানান, উপজেলার নিজস্ব অর্থায়নে ঈশ্বরদীর তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঈশ্বরদী তথা পাবনা জেলার জন্য এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিং ও পরিচালিত হবে। এতে চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধের সঙ্গে সঙ্গে একই ব্যক্তি একই সময়ে একাধিকবার সহযোগিতা নিতে পারবেন না। ঈশ্বরদীতে বৃহস্পতিবার সফলভাবে এই প্রযুক্তি উদ্বোধনের পর সারা দেশে এটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ডিজিটাল সেন্ট্রাল সার্ভার সিস্টেম সময়পোযোগী ও অভূতপূর্ব উদ্ভাবন। এর মাধ্যমে একই ব্যক্তির একাধিকবার ত্রাণ নেয়া ও চুরির সুযোগ না থাকার পাশাপশি হিসাব নিকাশে স্বচ্ছতা থাকবে। পৌর এলাকার ১৮শ’ মানুষকে প্রাথমিকভাবে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা প্রযুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে, সেখানে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হলে ধীরগতির কারণে জরুরি প্রয়োজনের সময় কাজ হয় না। এই সফটওয়্যারে ধীরগতির সম্ভাবনা নেই। প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ মানুষ একসঙ্গে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। একটি মোবাইল আ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এই আ্যাপস থেকে স্ক্যান করে সাবমিট করলেই সব ফলাফল জানা যাবে। আপদকালীন সময় ছাড়াও বছরব্যাপী সরকারের মানবিক সহায়তার সব কার্যক্রম এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :